বাংলাদেশ যে আজ এই পর্যন্ত এসেছে এতে সবচেয়ে বেশি অবদান ‘পঞ্চপাণ্ডব’ এর। বাংলাদেশ ক্রিকেটে ‘পঞ্চপাণ্ডব’ শব্দটা ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে। অথচ ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস সময়ের পরিক্রমায় পঞ্চপাণ্ডবের কেউই আর দলে নেই। মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা অনেক আগেই বিদায় বলেছেন টি-টোয়েন্টিকে। সম্প্রতি বিদায় বলে দিয়েছেন তামিম ইকবালও।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিমকে বিশ্রাম দিয়েছে ক্রিকেট বোর্ড। সাকিব আল হাসান নিজেই নিয়েছেন বিশ্রাম। নতুন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের নেতৃত্বে তরুণ একটা দল তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে যাচ্ছে জিম্বাবুয়েতে।
সিনিয়র ক্রিকেটারদের ছাড়া কিছুটা অগোছালো তো বটেই। সিনিয়র ক্রিকেটাররা অনেকটা মা-বাবার ভূমিকা পালন করেছেন দলের। মেহেদী হাসান মিরাজের কথায় তেমনটাই ফুটে উঠল। তবে সিনিয়রদের অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন এই অলরাউন্ডার।
জিম্বাবুয়ে রওনা করার আগে মঙ্গলবার দুপুরে গণমাধ্যমে মিরাজ বলেছেন, ‘অবশ্যই সুযোগ। পরিবারে যখন ছোট থাকেন, তখন বেড়ে ওঠার জন্য বাবা-মা সব দায়িত্ব নেন। প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলে নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নেন। এই সিরিজ থেকে নিজেরা নিজেদের সিদ্ধান্ত নিতে পারব, যেহেতু সিনিয়ররা নেই। তারা এতদিন বাংলাদেশের ক্রিকেটের মা-বাবা ছিলেন বা অভিভাবক হিসেবে ছিলেন।’
সিনিয়র ক্রিকেটারদের ছাড়া নিজেদের প্রমাণ করার বড় সুযোগ পেতে যাচ্ছেন তরুণরা। তাছাড়া টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে টানা হারে বিপর্যস্ত একটা দলকে কতটা এগিয়ে নিতে পারেন তরুণরা সেটাও প্রমাণের বিষয়। যদিও মিরাজ মনে করছেন প্রমাণের কিছু নেই।
‘প্রমাণ করার আসলে কিছুই নেই। একটা সময় তো সিনিয়র ক্রিকেটাররা থাকবেন না। আমাদের ব্যাচ থেকে অনেকেই সিনিয়র হয়ে যাবে। সাকিব ভাই, তামিম ভাই, রিয়াদ ভাইরাও একসময় জুনিয়র হয়ে খেলছিলেন। ২০১১ বিশ্বকাপে সাকিব ভাই ওয়ানডে বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তখন তার বয়স ছিল ২২ বছর। ওখান থেকে খেলতে খেলতে এই পর্যায়ে এসেছেন। এখন যে তরুণ দল আছে, সময় লাগবে।’