অবশেষে রোহিত শর্মা যেন ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন। মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের জন্য এখন সব ম্যাচই বলতে গেলে অর্থহীন। মাত্র ২ পয়েন্ট নিয়ে সবার নিচে থাকা দলটির চাওয়া–পাওয়ার আর কিছু নেই। আজ এমন অর্থহীন এক ম্যাচে গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ভার খেলার চেষ্টা করলেন মুম্বাইয়ের অধিনায়ক রোহিত। আড়ষ্ট ভাবটা কাটিয়ে নিজের আসল ব্যাটিংটা করলেন তিনি। তাঁর ছন্দে ফেরার ইঙ্গিতের দিনে জয় পেয়েছেও মুম্বাইও। শেষ ওভারের নাটকীয়তায় গুজরাটকে তারা হারিয়েছে ৫ রানে।
শেষ ওভারে গুজরাটের দরকার ছিল ৯ রান। উইকেটে মিলার ও তেওয়াতিয়া ছিলেন বলে অনেকের কাছেই হয়তো মনে হয়েছে, এটা কোনো ব্যাপার নয় গুজরাটের জন্য। কিন্তু ড্যানিয়েল স্যামসের প্রথম বল থেকে এক রানই নিতে পারেন মিলার। পরের বলটি ডট, তৃতীয় বলে রানআউট হয়ে ফেরেন তেওয়াতিয়া। পরের বলে ১ রান নিয়ে মিলারকে স্ট্রাইক দেন রশিদ খান। জয়ের জন্য গুজরাটের তখন ২ বলে দরকার ৬ রান। দুটি বলই ডট দেন স্যামস।
গুজরাটের লক্ষ্যটা ছিল ১৭৮ রানের। দুই ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা ও শুবমান গিল ছন্দে আছেন। মিডল অর্ডারে হার্দিক পান্ডিয়া, ডেভিড মিলারও ভালো খেলছেন। আর লোয়ার অর্ডারে নামা রাহুল তেওয়াতিয়া তো ফিনিশারের ভূমিকাটা দারুণভাবে পালন করছেন। গুজরাটের জন্য এই লক্ষ্য বড় হওয়ার কথা নয়। গুজরাটকে ভালো শুরুও এনে দেন ঋদ্ধিমান ও গিল। দুজনের ওপেনিং জুটিতে ১২.১ ওভারে আসে ১০৬ রান। জুটি ভাঙে ৩৬ বলে ছয় চার ও দুই ছয়ে গিল ৫২ রান করে আউট হলে। সেই ওভারেরই শেষ বলে ফিরে যান ঋদ্ধিমানও। আউট হওয়ার আগে ছয় চার ও দুই ছয়ে ৪০ বলে ৫৫ রান করেছেন তিনি।
দুই ওপেনারের আউটের পর গুজরাটকে জয়ের পথে রাখেন পান্ডিয়া ও সাই সুদর্শন। তৃতীয় উইকেটে ১৮ বলে ২৭ রান তোলেন তাঁরা। পান্ডিয়া ১৪ বলে ২৪ আর সুদর্শন ১১ বলে ১৪ রান করে আউট হয়েছেন। সুদর্শন ও পান্ডিয়ার আউটের পর হঠাৎ করেই সবকিছু যেন পাল্টে যেতে থাকে। এর আগে বেশ কয়েকটি ম্যাচ জেতানো মিলার ও তেওয়াতিয়ার ব্যাটে বল ঠিকভাবে আসছিল না। এ ম্যাচটি আর গুজরাটকে শেষ পর্যন্ত জেতাতে পারলেন না তাঁরা।
এর আগে মুম্বাই ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৭ রান তুলতে পেরেছে রোহিত ও ঈশান কিষানের ওপেনিং জুটির ওপর ভিত্তি করে। মাত্র ৭.৩ ওভারে দুজনে মিলে তুলেছেন ৭৪ রান। রশিদ খানের বলে আউট হওয়ার আগে রোহিতের ব্যাট থেকে এসেছে ২৮ বল খেলে ৪৩ রান, যা এবারের আইপিএলে তাঁর সর্বোচ্চ। রোহিতের শুরুর আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের কারণে ঈশান খেলেছেন একটু ধীরলয়ে। রোহিতের আউটের পর হাত খোলেন ঈশানও। ২৯ বল খেলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪৫ রান করেন এই বাঁহাতি।
দুজনের বিদায়ের পর খেই হারায় মুম্বাইয়ের ব্যাটিং। ১২তম ওভারে দলীয় ১১১ রানে তৃতীয় উইকেট হারানোর পর শেষ পর্যন্ত মুম্বাই ১৭৭ রান করতে পেরেছে। সেটাও টিম ডেভিসের ২ চার ও ৪ ছয়ে ২১ বলে ৪৪ রানের ইনিংসের কারণে।