ক্রিকেটে একটি কথা সর্বজন বিদিত- ‘আম্পায়ার্স কল ইজ অল’। তারপরও তাদের সিদ্ধান্তে প্রায়ই নাখোশ হতে দেখা যায় ক্রিকেটারদের। গতকাল রবিবার বিকেএসপিতে আবাহনী ও খেলাঘরের ম্যাচে আইসিসি প্যানেল ভুক্ত অভিজ্ঞ আম্পায়ার মাসুদুর রহমান মুকুল অবিশ্বাস্য এক অমার্জনীয় ভুল করে বসেন। আর এমন অদ্ভুত
ভুল করে আম্পায়ার্স কমিটি থেকে কারণ দর্শানোর নোটিস ইতোমধ্যে পেয়েছেন অভিজ্ঞ এই আম্পায়ার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বয়ং আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু।
তিনি বলেন “আমার নজরে এসেছে জিনিষটি, এমন কি খেলাঘর কোনো অভিযোগ করেনি। আমরা আম্পায়ার্স কমিটি থেকেই তার কাছে এমন অদ্ভুত ভুলের আনুষ্ঠানিক কারণ জানতে চেয়েছি।
গতকাল রবিবার বিকেএসপিতে ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে আরাফাত সানিকে বাঁ “পা” এগিয়ে সোজা ব্যাটে ডিফেন্স করেন খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতির ওপেনার ব্যাটসম্যান হাসানুজ্জামান।
ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা গেছে হাসানুজ্জামানের ব্যাটে জোরে লেগে বলটি ফাইন লেগে চলে গেছে, আর এটি অনেক বড় আওয়াজ ও হয়েছে তাই বোলার সানি ও কিপার অনিক কোনো আবেদন না করে তাকিয়ে ছিলেন বলের দিকে,
কিন্ত আম্পায়ার মাসুদুর রহমান মুকুল আউটের সংকেত দিয়ে দেন। আর এটি যে ঘোটা কয়েকজন আবহনী কর্মকর্তাকে খুশি করতে এমন অদ্ভুত কান্ড ঘটিয়েছেন তা সবাই বুঝে গেছে ইতোমধ্যে।
মিঠু বলেন, আমি জানতে চেয়েছি এত দ্রুত সিদ্ধান্ত দেওয়ার কারণ কি? মুকুল জানিয়েছে, মনোযোগের ঘাটতি ছিল,অমনোযোগের কারণে এমনটা হয়েছে। তাকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছি।
এর থেকে তো বেশি কিছু করার নেই। আম্পায়াররাও তো মানুষ, তাদের ভুল হতে পারে। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে মেইল পাঠাচ্ছি মুকুলের কাছে। আউট হওয়া ব্যাটসম্যান হাসানুজ্জামান কিছুতেই এই আউট বিশ্বাস করতে পারছিলেন না।
আম্পায়ার আঙুল উঁচু করায় সিঙ্গেল নিতে গিয়ে ক্রিজের মাঝপথে তিনি থেমে যান। কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকেন আম্পায়ার মুকুলের দিকে। এরপর হেলমেটে হাত রেখে হতাশ হয়ে চলে যান ড্রেসিংরুমে। এমন কি বিকেএসপিতে এমন আউটের দৃশ্য দেখে সবাই বিস্মিত!
তাই রিয়াদ নামের একজন লিখেছেন, আজ এই ম্যাচে যদি সাকিব ভাই থাকতো তাহলে আম্পায়ারের কপালে অনেক বড় দুঃখ ছিল। কিভাবে এইধরনের মাতাল আর পকেট ভারী করা আম্পায়ারদের সোজা করতে হয় সেটা একমাত্র সাকিবের দ্বারাই সম্ভব।
উল্লেখ্য, গতবছর জুনে মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও আবাহনী লিমিটেডের মধ্যে ম্যাচে আম্পায়ারের অদক্ষতার জন্য স্ট্যাম্পে লাথি মেরে সাহসী প্রতিবাদ করেছিলেন সাকিব।