টসে জিতে চওড়া হয়ে গিয়েছিল অইন মর্গ্যানের হাসি। হবে না-ই বা কেন। নকআউট পর্বের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেই টসে জিতলেন তিনি।
স্বাভাবিক ভাবেই ফিল্ডিং নিলেন শুক্রবার। কিন্তু প্রতিদিন যে অলৌকিক কিছু হয় না এটা বোধহয় মর্গ্যান ভুলে গিয়েছিলেন। আগের দুটি ম্যাচে জিতে কলকাতা ফাইনালে উঠলেও রান তাড়া করতে নেমে তাদের দৈন্যদশা প্রকট হয়ে উঠেছিল।
শুক্রবার মহেন্দ্র সিংহ ধোনির দল সেটাকেই আরও খোলসা করে দিল। আগের দুই ম্যাচের ভুল থেকেও কিছুই শিক্ষা নেয়নি কলকাতা এটা বোঝা গেল। ফলস্বরূপ, তৃতীয় বারের মতো ট্রফি ঘরে তোলা হল না শাহরুখ খানের মালিকানাধীন দলের।
সন্তান আরিয়ানকে নিয়ে বিপর্যস্ত শাহরুখ হয়তো ভেবেছিলেন দল ট্রফি জিতলে কিছুটা শান্তি পাবেন। কিন্তু সেই সুখ তাঁর এ বারের মতো পাওয়া হল না।
আগের বেশ কিছু ম্যাচের মতো কলকাতার মিডল অর্ডার শুক্রবারও আত্মসমর্পণ করল প্রতিপক্ষের কাছে। ওপেনাররা বাদে কেউই দাঁড়াতে পারলেন না।
দুবাইয়ের পিচে বড় রান ওঠালেও সেই রান তাড়া না করার মতো পরিস্থিতি একেবারেই ছিল না। কিন্তু মর্গ্যানের দলের ব্যাটারদের উন্নতি না করা এবং শিক্ষা না নেওয়ার মনোভাব ফের এক বার ডোবাল।
উল্টোদিকে, হয়তো চেন্নাইয়ের জার্সিতে শেষ বার খেলা মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ট্রফি জিতে নিজের বিদায় স্মরণীয় করে রাখলেন। চেন্নাইয়ের তোলা ১৯২-এর জবাবে কলকাতা থেমে গেল ১৬৫ রানে।
ফাইনালে কে কত রুপি পেলোঃ
১। ফাইনালের সেরা: ৭টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৫৯ বলে ৮৬ রানের অনবদ্য ইনিংসের সুবাদে ফাইনালের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন ফ্যাফ ডু’প্লেসি। পেয়েছেন ৫ লক্ষ্য রুপি।
২। টুর্নামেন্টের সেরা: ৩২টি উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ারের পুরস্কার জেতেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হার্ষাল প্যাটেল। পেয়েছেন ১০ লক্ষ্য রুপি।
৩। অরেঞ্জ ক্যাপ: ১৬ ম্যাচে টুর্নামেন্টের সবথেকে বেশি ৬৩৫ রান করে অরেঞ্জ ক্যাপ মাখায় তোলেন চেন্নাইয়ের তরুণ ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড়। পেয়েছেন ১০ লক্ষ্য রুপি।
৪। পার্পল ক্যাপ: ১৫ ম্যাচে টুর্নামেন্টের সবথেকে বেশি ৩২টি উইকেট নিয়ে পার্পল ক্যাপ মাথায় তোলেন আরসিবির হার্ষাল প্যাটেল। পেয়েছেন ১০ লক্ষ্য রুপি
৫। এমার্জিং প্লেয়ার: ১টি সেঞ্চুরি ও ৪টি হাফসেঞ্চুরি-সহ ৬৩৫ রান করে টুর্নামেন্টের সেরা উঠতি ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। পেয়েছেন ১০ লক্ষ্য রুপি।
৬। সর্বাধিক ছক্কা: ১৪ ম্যাচে ৩০ ছক্কা হাকিয়ে সবার্ধিক ছক্কার মালিক কে এল রাহুল। পেয়েছেন ১০ লক্ষ্য রুপি।
৭। গেম চেঞ্জার অফ দ্য সিজনঃ ৩২টি উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের গেম চেঞ্জার অফ দ্য সিজন পুরস্কার জেতেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হার্ষাল প্যাটেল। পেয়েছেন ১০ লক্ষ্য রুপি।
৮। সুপার স্ট্রাইকার অফ দ্য সিজনঃ ১৬ ম্যাচ ১৬৪ গড় স্ট্রাইক রেটে সুপার স্ট্রাইকার অফ দ্য সিজন পুরস্কার জেতেন সিমরন হেট্মায়ার। পেয়েছেন ১০ লক্ষ্য রুপি।
৯। ক্যাচ অফ দ্য সিজনঃ কলকাতার বিপক্ষে নারাইনের কঠিন ক্যাচ ধরে ক্যাচ অফ দ্য সিজন পুরস্কার জেতেন রবি বিষ্ণোই। পেয়েছেন ১০ লক্ষ্য রুপি।
১০। রানার আপ অফ আইপিএল সিজন ২০২১ঃ কলকাতা নাইট রাইডার্স ১২.৫ কোটি রুপি
১১। চ্যাম্পিয়ন অফ আইপিএল সিজন ২০২১ঃ চেন্নাই সুপার কিংস ২০ কোটি রুপি।
সর্ব মোট ৩৩ কোটি ৩৫ লক্ষ্য রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪০ কোটি টাকা) প্রাইজ মানি দেওয়া হয়েছে