আনুষ্ঠানিকভাবে অবসরের ঘোষণা না দিলেও মাহমুদউল্লাহকে যে আর কোনো দিন সাদা পোশাকে মাঠে দেখা যাবে না, সেটি তো জানাই গেল। ১৬ মাস পর টেস্টে ফেরা মাহমুদউল্লাহর আকস্মিক এই ‘অবসর’ মনে করিয়ে দিল শোয়েব মালিককে। ২০১৫ সালে পাঁচ বছর পর ফিরে টেস্টের মাঝপথে এভাবেই আচমকা অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়কও।
প্রায় পাঁচ বছর পর ২০১৫ সালের নভেম্বর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে টেস্টে ফেরেন শোয়েব মালিক। আর প্রত্যাবর্তনের সেই টেস্টেই করেন ক্যারিয়ারসেরা ২৪৫ রান। অবশ্য শারজায় হওয়া সেই সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে বলার মতো কিছু করতে পারেননি। দুই ইনিংসে করেছিলেন সাকল্য ৯ রান। তৃতীয় টেস্টে যদিও ফিরে এসেছিলেন। ব্যাটিংয়ে সেভাবে কিছু করতে না পারলেও করেছিলেন ক্যারিয়ারসেরা বোলিং—৫৯ রানে ৭ উইকেট। ওই টেস্টের তৃতীয় দিন দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যর্থ হওয়ার পরই শোয়েব মালিক বলে দেন, সাদা পোশাকে আর নয়! যদিও শোয়েব মালিক চালিয়ে যান সীমিত ওভারের ক্রিকেট। অথচ পাঁচ বছর টেস্ট ক্রিকেটের বাইরে থাকার পর ফিরে এসে চমক দেখানো শোয়েব মালিকের সামনে সুযোগ ছিল টেস্টেও নিয়মিত হওয়ার।
মাহমুদউল্লাহও অবসরের কথা জানিয়েছেন টেস্টের তৃতীয় দিনে। হারারে টেস্টে প্রত্যাবর্তনে দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ে খেলেন অপরাজিত ১৫০ রানের অনবদ্য এক ইনিংস। সেই ইনিংস খেলার পরেই সতীর্থদের বলে দেন, এটাই তাঁর শেষ টেস্ট। এখনো অবশ্য তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে অবসরের ঘোষণা দেননি। যদিও হারারে টেস্টের শেষদিনই সতীর্থেরা মাহমুদউল্লাহকে ‘বিদায়’ জানিয়েছেন গার্ড অব অনারে। বাংলাদেশ টি–টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ চালিয়ে যাবেন ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি।
অনেক দিন পর টেস্টে ফেরা, এরপর দারুণ পারফরম্যান্স, টেস্ট থেকে আচমকা অবসর, সাদা বলে চালিয়ে যাওয়া—চার ঘটনায় মাহমুদউল্লাহ ও শোয়েব মালিক যেন মিলে গেলেন একই বিন্দুতে। তবে এই সিদ্ধান্তের পেছনে দুজনের কারণও অনেকটা এক—উপেক্ষার জবাব আর সাদা বলের ক্রিকেটে ক্যারিয়ার আরও লম্বা করতেই লাল বলকে আকস্মিক বিদায় বলে দেওয়া।