বিরাট কোহলি কিংবা অনেক তারকা ক্রিকেটারেরা যখন নিরবে সরে দাঁড়ান তখন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা কেন পারেন না। এর পেছনো কোনো আর্থিক অনিশ্চয়তাকে টানতে নারাজ তিনি। তার দাবি ক্রিকেটের সাথে অতিারক্ত ভালোবাসার টান কিংবা নেশার কারনেই থামা হয় না ক্রিকেটাররা তাই তো ক্রিকেট ছাড়ার পর নিজেও থাকতে চান ক্রিকেটের সাথেই যে কোনো দায়িত্বে।
এইতো সেই দিন বিবাহিত জীবনের ১০ বছর পার করলেন ইমরুল কায়েস। আর ২২ গজের সংসারের ১ যুগ পার হয়েছে সেই কবে। কোন ইনিংস তা কঠিন ছিল ? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এটা একটা কঠিন প্রশ্ন করেছেন। ক্রিকেটে আসলে বেশি সময় দেয়া। সংসার লাইফের থেকে কারন সংসার লাইফের আগেই এই ক্রিকেটেই আমার সংসার ছিল। তার মানে এইটা কিন্তু সামান্য কঠিন।
বিবাহিত জীবনের ইনিংসটা হোক সবচেয়ে লম্বা। কিন্তু ক্রিকেটের ইনিংসে এক দিন না এক দিন থামতেই হবে। ঠিক সময়ে সেই থামাটা নিয়েই যত বিপত্তি দেখা দেয় আমাদের ক্রিকেটের সংস্কৃতিতে। চুপিস্বরে যখন ক্রিকেটের রথি মাহারথিরাও বিদায় নেয় তখন কোনো টাইগারদের ক্ষেত্রে হয় না মসৃণ বিদায়।
ইমরুল বলেন, পুরো ক্যারিয়ারে যেভাবে সে ফ্যানান্সিলি ইনকাম করে আমার মনে হয় যে নিজের লাইফটা রান করার জন্য গুড এ্যানাফ। কিন্তু তারপরও একটা জিনিস কি আপনি এই জিনিসটা ছোট বেলা থেকে ডেটিকেশন বা সাধনার ভিতরে করেন। একটা ভালোবাসার জায়গা হুট করে ছেড়ে দেয়া কঠিন। কারন ক্রিকেটা আমার নেশা পেশা সবকিছু বলা যায়। কারন এইটা মাঠে না আসলে ভালো লাগে না। হয়তো খুব জোর এক সপ্তাহ বাসায় বিশ্রম নিবো। তারপরও কিন্তু মনটা ঠিকও এখানে চলে আসে।
আমার মনে হয় যে আমাদের সিনিয়ার ক্রিকেটাররা এই কারনে অবসর নিতে চাই না। কারন বাসায় বসে থেকে তো ভালো লাগে না ক্রিকেট টা ছেড়ে দিলে তো ছেড়ে দিলো।
আর এই নিশাটাই ইমরুলকে এখনো তাড়াই ছোটেন স্বপ্নের পিছনে। আর যদি দৌড়টা থামাতে হয় তখন ইমরুল কি করবেন তা ঠিক করে রেখেছেন তিনি।
ইমরুল বলেন, ক্রিকেটে বাইরে তো আর চিন্তা করা যায় না। তাই যদি এতো বছর ক্রিকেটের সাথে কাজ করে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি সেইটা দিতে পারলে আমার মনে আমার কাছে সেইটা সবচেয়ে ভালো হবে।
আরো একবার বিশ্বকাপে দলে ফিরার স্বপ্নটা হয়তো বাড়াবাড়ি হবে। কিন্তু টাইগারদের টি-২০ বিশ্বকাপ মিশন নিয়ে আন্তবিশ্বাসী ইমরুল কায়েস। তিনি বলেন আমার মনে হয় যে টি-২০ বিশ্বকাপের সেমি ফাইনাল পর্যন্ত বাংলাদেশের খেলা উচিত।
ইমরুল কায়েস এমনি জানিয়েছেন একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাতকারে।