অনলাইনে গর্ভবতী কার্ড করার নিয়ম

অনলাইনে গর্ভবতী কার্ড করার নিয়মঃ বর্তমান সময়ে দরিদ্র গর্ভবতী মায়েদের গর্ভবতী ভাতা প্রদান করা হয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে সকল দরিদ্র, প্রতিবন্ধী ও গর্ভবতী মহিলা এই ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবে। এক সময় গর্ভবতী কার্ড করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের যোগাযোগ করতে হতো। তবে এখন আর ইউনিয়ন পরিষদে যেতে হবে না। ঘরে বসেই গর্ভবতী কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

এটা যেহেতু নতুন উদ্যোগ তাই অনেকেই অনলাইনে গর্ভবতী কার্ড করার নিয়ম জানেন না। তবে বেশি চিন্তিত হবার কারণ নেই। আপনাদের সুবিধার জন্য আজকে অনলাইনে গর্ভবতী কার্ড করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।তাই আপনি যদি এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান, তাহলে আজকের আর্টিকেল শুধুমাত্র আপনার জন্য।

অনলাইনে গর্ভবতী কার্ড করার নিয়ম

বর্তমান সময় আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে অনলাইনে গর্ভবতী কার্ড করার জন্য আবেদন করতে পারবেন। অনেকেই ভাবে এটা অনেক কঠিন একটি কাজ। কিন্তু একটু চেষ্টা করলে আপনি নিজেই এই কাজটি করতে পারবেন।

অনলাইনে গর্ভবতী কার্ড করার জন্য ইন্টারনেট কানেকশন ও স্মার্টফোন দরকার। চলুন দেখে নেই অনলাইনে গর্ভবতী কার্ড করার নিয়ম কানুন সম্পর্কে।অনলাইনে গর্ভবতী কার্ড করার নিয়ম

  1. অনলাইনে গর্ভবতীর কাজ করার জন্য আপনাকে প্রথমে নিচের লিংকে প্রবেশ করুন। http://103.48.16.6:8080/LM-MIS/applicant/onlineRegistration
  2. লিংকে প্রবেশ করার পর, আপনার সামনে নতুন একটি ওয়েব পেজ চলে আসবে।
  3. এখন আপনি যে ব্যক্তির গর্ভবতী কার্ড করতে চান, তার জাতীয় পরিচয় পত্র ও জন্ম তারিখ তুলতে হবে। অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার ও জন্ম তারিখ নির্ভুল হতে হবে।
  4. তারপর আবেদনকারী গর্ভবতী মহিলার স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা দিতে হবে।
  5. সঠিকভাবে ঠিকানা গুলো দেওয়ার পর আপনাকে সর্বশেষ সাবমিট বাটনে ক্লিক করতে হবে।

উপরের ধাপগুলো অনুসরণ করে খুব সহজে অনলাইনে গর্ভবতী কার্ড করার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

গর্ভবতী কার্ড করতে কি কি লাগে?

গর্ভবতী কার্ড করার জন্য একজন মহিলার কিছু যোগ্যতা থাকতে হবে। যে যোগ্যতা গুলোর মাধ্যমে সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ আপনি গর্ভবতী ভাতা যোগ্য কিনা তা যাচাই করবে। তাই আমাদের গর্ভবতী কার্ড করতে কি কি লাগবে তা জানা দরকার।

  • একজন মহিলা শুধু প্রথম ও দ্বিতীয় সন্তানের জন্য গর্ভবতী কার্ড করতে পারবে।
  • আবেদনকারীর বয়স ২০ বছর উপরে হতে হবে। অর্থাৎ, আবেদনকারীর বয়স সর্বনিম্ন ২০ বছর থাকতে হবে।
  • যে মহিলা গর্ভবতী কার্ড করার জন্য আবেদন করবে, তার মাসিক আয় ২০০০ টাকার নিচে থাকতে হবে।
  • তার নিজস্ব ঘরবাড়ি বাদে অন্যান্য জায়গায় পুকুর বা জমি থাকা যাবে না।
  • এছাড়াও আবেদনকারীকে অবশ্যই জুলাই মাসে গর্ভধারণ করতে হবে।

উপরোক্ত এই কয়েকটি শর্ত মানতে পারলে একজন মহিলা গর্ভবতী ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবে। গর্ভবতী ভাতার জন্য অবশ্যই আপনাকে উপরোক্ত যোগ্যতা বলে অর্জন করতে হবে।

গর্ভবতী ভাতা কত টাকা ২০২৩

যারা গর্ভবতী ভাতা পেতে চান, তাদের প্রশ্ন থাকে গর্ভবতী ভাতা কত টাকা। অনলাইনে ভাতার জন্য আবেদন করার পর আপনার আবেদন যদি মঞ্জুর করা হয়। তাহলে আপনি প্রতি মাসে ৮০০ টাকা করে পাবেন। এভাবে একটানা তিন বছর প্রত্যেক মাসে ৮০০ টাকা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পেয়ে যাবেন।

কিছু কথা

আশা করি, অনলাইনে গর্ভবতী কার্ড করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেয়েছেন। আপনি যদি গর্ভবতী কার্ড পাবার যোগ্যতা হয়ে থাকেন। তাহলে অতি দ্রুত অনলাইনে আবেদন করে ফেলুন। তবে অনেকেই আছেন, যারা গর্ভবতী ভাতা করার জন্য দালাল চক্রের কাছে টাকা দিয়ে থাকে। আপনি যদি এরকম কোন দালাল সংস্থার কাছে ভাতার জন্য টাকা দিয়ে থাকেন।

তাহলে আপনি অনেক বড় একটি ভুল করবেন। কারণ বাংলাদেশ সরকার গর্ভবতী ভাতা দেওয়ার জন্য কোন প্রকার ঘুষ সমর্থন করে না। তাই আপনি এ বিষয়ে বিশেষ সতর্ক থাকার চেষ্টা করবেন। এজন্য ভাতা পাওয়ার জন্য সরাসরি অনলাইনে আবেদন করে উপজেলার সমাজসেবা অধিদপ্তরে যোগাযোগ করুন।