বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নিয়মিত মুখ মুস্তাফিজুর রহমান। টাইগারদের এই অটোচয়েস পেসার নিয়মিত দলের হয়ে মাঠ দোলাচ্ছেন। তবে ইংল্যান্ডে আইরিশদের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে একাদশে ছিলেন না দেশটির এক সময়ের ফাস্ট বোলার। এবং সতীর্থ শরিফুল ইসলাম দ্য ফিজের অনুপস্থিতিকে ‘ড্রপ আউট’ বিবেচনা করতে অস্বীকার করেন। তার দাবি, অন্য ফাস্ট বোলারদের খেলার জন্য মুস্তাফিজকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে।

আইরিশদের বিপক্ষে হোম ওয়ানডে সিরিজে ফিজ মাত্র একটি ম্যাচ খেলেছেন। সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাত্র ১৫৫ রানে গুটিয়ে যায় আইরিশ দল। ওই ম্যাচে ৬ ওভার বল করার পর ৩১ রান খরচায় একটি উইকেট নেন এই ফাস্ট বোলার। এরপর সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়ানডেতে তাকে (মোস্তাফিজ) ছাড়াই একাদশ সাজানো হয় তাসকিন আহমেদ, ইবাদত হোসেন ও হাসান মাহমুদকে নিয়ে।

Suggested Post :  আউট না হয়েও আউট; স্বেচ্ছায় সাজঘরে ফিরে প্রশংসায় ভাসছেন ফখর

তবে এখানেই শেষ নয়, আইরিশদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজের সব ম্যাচেই দ্য ফিজ ছিলেন না। চেমসফোর্ডের লাল-সবুজ শিবিরটি টাইগারদের সেরা ফাস্ট বোলারদের একজন ছাড়াই শেষ।

এ প্রসঙ্গে শরিফুলের দাবি, মোস্তাফিজকে বিশ্রামে রাখা হয়েছে।

টাইগারদের এই পেসারের (শরিফুল) ভাষ্য, অনেকদিন পর এসে খেলছি, একাদশে জায়গা নিয়েছি। আসলে এটা আমার জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং। মোস্তাফিজকে বিশ্রামে রেখেছে, সব ফাস্ট বোলারকে খেলানোর জন্য। এজন্য এটা আমাদের জন্য ভালো সুযোগ, যাতে ভালো কিছু করতে পারি।

Suggested Post :  ১ম ম্যাচ জয়ের পরেও আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে একাদশ পরিবর্তনের ইঙ্গিত

নিজেকে নিংড়ে দেওয়ার প্রত্যাশা করে তিনি আরও যোগ করেন, তারা বলেছে তুমি (শরিফুল) মন খুলে খেলো। যেটা প্র্যাকটিসে করছিলে, সেটাই করো। ইনশাআল্লাহ, ভালো কিছু হবে। টেকনিক্যাল, টেকটিক্যাল সব দিক দিয়েই ভালো লাগছে।

শরিফুলের বিশ্বাস, যত প্রতিযোগিতা হবে, তত ভালো। যে ভালো করবে, দেশের জন্যই ভালো হবে। উপভোগ করছি বেশি। প্রতিযোগিতা বেশি হলে উপভোগও করা যায় বেশি। চাপ থাকলেও উপভোগ করছি।