কাপ্তান ম্যাশের অধিনায়কত্বের সেই সময়গুলো যেন ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভরা যৌবন। পঞ্চপাণ্ডবদের মাঝে থেকে আলো ছড়িয়েছেন মিস্টার ফিনিশার খ্যাত নাসির হোসেন। কখনো ব্যাটিং, কখনো ফিল্ডিং, প্রয়োজনে বল হাতে দলের যখন যেখানে প্রয়োজন উজাড় করে দিয়েছেন।

তিনি জাতীয় দলের হয়ে সর্বশেষ খেলেছেন ২০১৮ সালে। এরপর ফর্ম না থাকা ও মাঠের বাইরের বিতর্ক তাকে লম্বা সময়ের জন্য থমকে দেয়। এছাড়া চোটের কারণে লম্বা সময় ঘরোয়া ক্রিকেটেও তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। একটা সময় অনেকে ধরেই নিয়েছিলেন, মিস্টার ফিনিশার হয়তো ‘ফিনিশ’ হয়ে গেছেন।

তবে বিপিএলের সর্বশেষ নবম আসরে সবাইকে ভুল প্রমাণ করেন। ঢাকা ডমিনেটরসের অধিনায়ক হয়ে ১২ ম্যাচে সর্বোচ্চ ৩৬৬ রান করেন, যেখানে তার স্ট্রাইক রেট ১২০.০০। গড় রান ৪৫.৭৫।বল হাতেও নাসিরই দলের সেরা বোলার ছিলেন, ৬.৮ ইকোনমি রেটে তুলে নিয়েছিলেন ১৬ উইকেট।

Suggested Post :  বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে দুঃখের গল্প শোনালেন সাকিব আল হাসান

এরপর অনেকের ধারণা ছিল, ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা পাচ্ছেন এ অলরাউন্ডার। তখন তা হয়নি।

যদিও গত ২ মার্চ বিসিবির প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু সংবাদ মাধ্যমে নাসিরের দলে না থাকার কারণ জানিয়ে বলেছিলেন, যে যেখানেই পারফর্ম করুক। যেকোনো একটা ফরম্যাটে ওই ক্রিকেটারকে যদি দরকার হয়, অবশ্যই তাকে তৈরি করা হবে।

এদিকে সম্প্রতি দেশের সংবাদমাধ্যমে ঈদের বিশেষ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে ছিলেন নাসির ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মি। সেখানেই অভিমানী নাসির জানিয়েছেন, বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে মূল্যায়ন না পেলে আমেরিকায় খেলতে চলে যাবেন তিনি।

Suggested Post :  চমক দিয়ে যে চার ক্রিকেটারকে ধরে রাখছে কলকাতা নাইট রাইডার্স

নাসিরের বক্তব্য ছিল; আসলে আপনাকে যদি বাংলাদেশে ভালোমতো মূল্যায়ন না করে, তাহলে আপনি এখানে কেন থাকবেন? আমার কাছে যদি এরকম অনুভূত হয় যে, আমি মূল্যায়ন হচ্ছি না, তবে আমি বাংলাদেশে কেন থাকব? আমি আমেরিকায় চলে যাব। এটা আগেও বলেছি এখনও বলছি। এই বিপিএলের পরই আমি আমেরিকা যাচ্ছি। সেখানে মাইনর লিগ খেলা আছে, সেখানে খেলবো।

নাসির আরও বলেন, তবে এমন না যে আমেরিকায় চলে গেলে, বাংলাদেশে আর খেলব না। হ্যাঁ, যখন মূল্যায়নের কথা আসবে।