চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের তারকা লিটন দাসকে ছেঁটে ফেলল কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)। বাংলাদেশের তারকা কেকেআরের হয়ে মাত্র একটি ম্যাচে খেলতে পেরেছেন। তারপরই তাকে বাদ দিয়ে দেয়া হলো। কেকেআরে ফর্মহীন কেবল লিটন দাস নয়। আরো কয়েকজন আছে। তাদের কিন্তু সুযোগের পর সুযোগ দেয়া হচ্ছে। কিন্তু লিটনের বেলা নয় কেন?

অজুহাত হিসেবে বলা হচ্ছে, দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে অত্যন্ত জঘন্য উইকেটকিপিং করেছিলেন। দুটি সহজ স্টাম্পিং ফস্কে দিয়েছিলেন। যা কেকেআরের হারের অন্যতম কারণ ছিল। ব্যাট হাতেও ফ্লপ হয়েছিলেন। চার বলে মাত্র চার রান করেছিলেন। তবে রোববার চেন্নাই সুপার কিংসের (সিএসকে) বিরুদ্ধে কেন বাংলাদেশের তারকাকে এক ম্যাচের পরই বাদ দেয়া হলো, তা নিয়ে অবশ্য কিছু জানাননি কেকেআরের অধিনায়ক নীতিশ রানা।

Suggested Post :  ব্রেকিং নিউজঃ আইপিএলের নতুন ২ দলের নাম ঘোষণা

কী কারণে লিটনকে বাদ দিয়েছে কেকেআর?
ভারতীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয়, প্রথম ম্যাচে এতটাই নিম্নমানের উইকেটকিপিং করেছিলেন লিটন, যে তাকে বাদ দিয়ে বাধ্য হয়েছে কেকেআর। দিল্লির বিরুদ্ধে যখন জেতার জায়গায় দাঁড়িয়েছিল কেকেআর, ওই সময় দুটি সহজ স্টাম্পিং ফস্কে দিয়েছিলেন। ১৭.২ ওভারে বরুণ চক্রবর্তীর বলে ললিত যাদবকে আউট করতে পারেননি।

তারপর ১৮.৫ ওভারে রানার বলে অক্ষর প্যাটেলের স্টাম্পিং ফস্কে দিয়েছিলেন। ওই দুটি আউট করতে পারলেই ম্যাচটা জিতে যেত কেকেআর। যে ম্যাচে লিটনকে দেখে স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছিল যে কেকেআরের ‘রহস্য’ স্পিনার বরুণের বল পড়তে পারছেন না। তুলনামূলকভাবে ভালো অবস্থা এন জগদীশনের।

ভারতীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয়, তবে স্টাম্পিং ছাড়াও লিটনকে বাদ দেয়ার আরো একটি কারণ উঠে আসছে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, দলের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য লিটনকে বাদ দেয়া হয়েছে। সেটা কী রকম? ওই মহলের মতে, পেস বোলার নিয়ে সমস্যায় পড়েছে কেকেআর। লকি ফার্গুসন এবং টিম সাউদি দু’জনেই ব্যর্থ হয়েছেন। সেইসাথে আন্দ্রে রাসেলও ছন্দে নেই। তাই পেস বোলার এবং ফিনিশার হিসেবে ডেভিড ওয়াইজিকে নেয়া হয়েছে। তাতে দলের ভারসাম্য বাড়বে। আর সেই সিদ্ধান্তটা আরো সহজ করে তুলেছে উইকেটের পিছনে লিটনের ব্যর্থতা।

Suggested Post :  ব্রেকিং নিউজঃ আইপিএল শুরুর দিনক্ষণ চুরান্ত; দেখেনিন একনজরে

কেকেআরের প্রথম একাদশ
জেসন রয়, এন জগদীশন, নীতিশ রানা, আন্দ্রে রাসেল, রিঙ্কু সিং, সুনীল নারিন, ডেভিড ওয়াইজি, কুলবন্ত খেজরোলিয়া, সুয়াশ শর্মা, উমেশ যাদব এবং বরুণ চক্রবর্তী।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস