বিশ্ব ফুটবলের দুই পরাশক্তি ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। লাতিন আমেরিকার এই দল দুটি যে পর্যায়েই মুখোমুখি হোক, উত্তেজনার কমতি থাকে না। ম্যাচের পরতে পরতে থাকে রোমাঞ্চের ছড়াছড়ি। চলতি মাসেই ফের দেখা যাবে দুই দলের লড়াই।

ইকুয়েডরে বসেছে অনূর্ধ্ব-১৭ দক্ষিণ আমেরিকান চ্যাম্পিয়নশিপের ১৯তম আসর। টুর্নামেন্টিতে প্রতিবারের মতো এবারও অংশ নিয়েছে ১০টি দল। যেখান থেকে পাঁচটি করে দল দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলেছে গ্রুপ পর্বের ম্যাচ। গ্রুপ ‘এ’ ও গ্রুপ ‘বি’ থেকে সেরা ছয়টি দল উঠেছে ফাইনাল রাউন্ডে।

গ্রুপ এ থেকে ব্রাজিল, চিলি, ইকুয়েডর এবং গ্রুপ বি থেকে আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে ও ভেনেজুয়েলা চূড়ান্ত পর্বে এসেছে। ফাইনাল রাউন্ড নিশ্চিত করা ছয়টি দলই একে অপরের মুখোমুখি হচ্ছে। প্রতিটি দলের থাকছে পাঁচটি করে ম্যাচ। এরই মধ্যে তিনটি করে ম্যাচ খেলে ফেলেছে দলগুলো।

Suggested Post :  আর্জেন্টিনাকে কাদিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলেন ব্রাজিল!

স্বাগতিক ইকুয়েডর তিন ম্যাচের দুইটিতে জয় ও একটিতে ড্র হরে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে রয়েছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। দ্বিতীয় স্থানে আর্জেন্টিনা। আলবিসেলেস্তে জুনিয়ররাও দুই জয় ও এক ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে দুইয়ে।

ইকুয়েডর-আর্জেন্টিনার মতোই ব্রাজিলের পয়েন্ট সাত। দুই জয়ের বিপরিতে তারাও ড্র করেছে একটি ম্যাচ। তবে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে রয়েছে তৃতীয় স্থানে। ভেনেজুয়েলার জয় একটিতে, হেরেছে দুইটি। রয়েছে টেবিলের চতুর্থ স্থানে। এছাড়া চিলি ও প্যারাগুয়ে এখন পর্যন্ত জয়ের দেখা পায়নি।

অনূর্ধ্ব-১৭ দক্ষিণ আমেরিকান চ্যাম্পিয়নশিপের নিয়ম অনুযায়ী পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা দল হবে চ্যাম্পিয়ন। আর দ্বিতীয় স্থানে থাকা দল হবে রানার্সআপ। বাকি চার দলের মধ্যে যথায়ক্রমে তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্থান নির্ধারণ হবে।

Suggested Post :  যে কারনে মেসিকে ‘ভদ্রবেশী প্রতারক’ বললেন সাবেক রিয়াল তারকা পেপে

ফাইনাল রাউন্ডের শেষ দিন মুখোমুখি হবে চিরপ্রতিদ্বন্দী ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। আগামী ২৩ এপ্রিল রোববার ভোর ৬টায় শুরু হবে ম্যাচটি। যা বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে ঈদের দিন হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। দুই দলেরই এটি হবে শেষ ম্যাচ।

উল্লেখ্য, এটি অনূর্ধ্ব-১৭ দক্ষিণ আমেরিকান চ্যাম্পিয়নশিপের ১৯তম আসর। করোনার কারণে একটি আসর পিছিয়ে যায়। তবে আয়োজক দেশের ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন আনেনি কর্তৃপক্ষ। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ ১২ বারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। আর আর্জেন্টিনার ঘরে রয়েছে ৪টি শিরোপা। এছাড়া বলিভিয়া ও কলম্বিয়া একবার করে চ্যাম্পিয়ন হয়।