অবিশ্বাস্য বলেও অবিশ্বাস্যকে ছোট করা হবে। রবিবার নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে যা কাণ্ডটা ঘটালেন কেকেআরের রিঙ্কু সিং তাতে অবিশ্বাস্য শব্দটাকে আরও মজবুত করার জন্য নতুন শব্দের প্রয়োজন হবে।

দলের বাজিগর মালিক শাহরুখ খান এবার বলতে পারেন, ‘হারকর জিতনে বালো কো কেকেআর কেহেতে হে’। গুজরাটের বিরুদ্ধে শেষ ওভারে কেকেআরকে করতে হত ২৯ রান।

রশিদ খানের হ্য়াটট্রিকে তখন আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিন, শার্দুল ঠাকুররা ফিরে গিয়েছেন। শেষ ওভার রিঙ্কু সিং দলকে এমন জায়গা থেকে জিতিয়ে দেবেন অতি বড় সমর্থকও হয়তো ভাবেননি।

Suggested Post :  আইয়ার আউট করে এমন বোকা বানালেন নারাইন, ক্রিজেই দাঁড়িয়ে থাকলেন (ভিডিও)

সেটাই করলেন রিঙ্কু। গুজরাট টাইটান্সের উত্তরপ্রদেশের ২৫ বছরের পেসারের ম্যাচের শেষ ওভারে পাঁচটা ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে জেতালেন রিঙ্কু।

এমন ফিনিশ আইপিএলের ইতিহাসে আগে দেখা গিয়েছিল ২০০৯ সালে। কলকাতা নাইট রাইডার্সে বিপক্ষে ২০০৯ সালে ডেকান চার্জার্সের শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২৬ রান। সেই ম্যাচে মাশরাফি শেষ ওভার করেন এবং রোহিত শর্মা ২৬ নিয়ে ডেকান চারজারকে জয় এনে দেন।

১৪ বছর পর মাশরাফিকে সেই অভিশপ্ত ওভারের লজ্জার রেকর্ড থেকে মুক্তি দিলো কলকাতা নাইট রাইডার্সে ব্যাটার রিংকু সিং। এক কথায় রিঙ্কু আসলে ইতিহাসের সব ভুলিয়ে দিলেন।

Suggested Post :  মুস্তাফিজকে রাসেলের সাথে তুলনা

রশিদ খানের দুরন্ত হ্য়াটট্রিকটাও চাপা পড়ে গেল এমন অবিশ্বাস্য ইনিংসের কাছে। ম্যাচ জিতিয়ে উত্তরপ্রদেশের ২৫ বছরে রিঙ্কু যখন ডাগ আউটে ফিরলেন তাকে আদর, অভিনন্দনে ভরিয়ে দিলেন সতীর্থ ক্রিকেটার, কোচেরা। মোদী রাজ্যে রিঙ্কুর এমন অবিশ্বাস্য ইনিংস দেখার পর শহর কলকাতাতেও নাইট সমর্থকদের উচ্ছ্বাসে ভাসতে দেখা গেল।