বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রাঞ্চাইজি টি-২০ টুর্নামেন্ট হলো ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। বিশ্বের বাঘা বাঘা ক্রিকেটাররা আইপিএল খেলার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাও এর ব্যতিক্রম না। জাতীয় দলের খেলা চলাকালে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের আইপিএলে অনাপত্তিপত্র বা এনওসি না দেওয়ায় কোনো আক্ষেপ নেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। আইপিএলে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের অংশ গ্রহণের সুযোগ কমে এলেও জাতীয় দলের খেলার সময় ক্রিকেটারদের জাতীয় দলে রাখার ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে বিসিবি।

বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন, সাকিব আল হাসান, লিটন দাসরা কোন কোন ম্যাচ খেলতে পারবেন না তা আগেভাগে জেনেই দল সাজিয়েছে কলকাতা, সে অনুযায়ীই তাদের দলভুক্ত করেছে। বিসিবি ক্রিকেটারদের প্রতি ‘সদয়’ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়নি, গণমাধ্যমের এমন প্রশ্নের ইঙ্গিতে রেগে যান বোর্ড প্রধান।

Suggested Post :  বল হাতে খরুচে সাকিব ব্যাট হাতে ওয়ানডে মেজাজে রান; টানা দ্বিতীয় হার কলকাতার

পাপন বলেন, ‘লিটন-সাকিব তো ছাড়া আছেই। ছাড়লাম না কখন? সদয় হতো? আমি জিনিসটা বুঝি নাই। আমি আবার বলছি। আইপিএল শুরুর ৩ মাস আগে আইপিএল থেকে আমাদের সাথে যোগাযোগ করে। আমাদের কাছে কয়জন খেলোয়াড় চেয়েছে। জিজ্ঞেস করেছে কখন এভেইলেবল। আমরা তারিখ দিয়ে বলে দিয়েছি কে কখন এভেইলেবল। সাকিব ও লিটন ৫ ম্যাচ মিস করবে। এটা জেনেই তাদের দলে নিয়েছে। এই ৫ ম্যাচসহ নিলে ওদের মূল্য আরও বাড়তেও পারত। এখনও তা-ই আছে।’

Suggested Post :  ১৫ বছরের আইপিএল ইতিহাসে এমন ঘটনা বিরল; পান্ডিয়াকে আউট করে স্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাইলেন উমরান!

আইপিএলে যোগ দিয়েছেন আরেক বাংলাদেশি মুস্তাফিজুর রহমান। যদিও এখনও কোনো ম্যাচ খেলা হয়নি তার। লিটন দাস যোগ দেওয়ার পর একাদশে শুরুতে জায়গা পাবেন কি না তা অনিশ্চিত। পাপন বলেন, ‘আমরা কোনো সুযোগ দিতে চাই না। টেস্টের অধিনায়ক, সহ-অধিনায়ক দুজনকেই ছেড়ে দেবেন? এর আগে একটা জিনিস আপনাদের জিজ্ঞেস করেছিলাম- খেলাবে তো? না খেললে ওখানে গিয়ে বসে থাকার চেয়ে দেশের জন্য খেলাটা ভালো না? আমাদের তাই এটা নিয়ে কোনো দ্বিধা নেই।’