রাজধানীর বঙ্গবাজারের জনপ্রিয় খুচরা ও পাইকারি কাপড়ের সাতটি মার্কেটে আগুনের ঘটনায় অন্তত এক হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। দোকান পুড়েছে অন্তত পাঁচ হাজার। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন সাকিব আল হাসান।

সন্ধ্যায় সাকিব নিজের ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘এই অগ্নিকাণ্ডে সবাই তাদের ব্যবসা ও আয়ের মাধ্যম হারিয়েছে। রমজান মাসে এটি এখন খুব কঠিন সময় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আগামীকালের ক্ষতিগ্রস্তদের ইফতারের জন্য ২০,০০০ টাকা অনুদান প্রদান করব। এই ইফতারের আয়োজনটি সমন্বয় করবে মাস্তুল ফাউন্ডেশন।’

সাকিবের এই ঘোষণায় ক্ষিপ্ত হয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। বলছেন, আজকে তো আমরা রাস্তার ফকির হয়ে গেছি। গত পরশু দিন ২০ হাজার টাকা আমাদের কাছে হাতের ময়লা ছিল। সাকিবের টাকার মধ্যে থু মারি, থু।

Suggested Post :  ৩য় বাংলাদেশী হিসেবে আইসিসি থেকে নতুন সম্মাননা পেলেন নাসুম

ব্যবসায়ীরা বলেন, বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ইফতারির জন্য ২০ হাজার টাকা দেবে, ৫ পয়সা কইরাও তো কেউ পাইব না। আপনাদের মাধ্যমে বলতে চাই, অর যদি লাগে আমরা ২০ হাজার টাকা আরো দিমু, অয় ৪০ হাজার টাকা দিয়া ইফতার করুক।

তারা বলেন, এটা তো আমাদেরকে ক্রিটিসাইজ করা হইছে। এত বড় মার্কেটে যেখানে ছয় হাজার দোকান সেখানে দুইজন করি লোক ধরলেও ১২ হাজার লোক। এমন দোকান আছে পাঁচ-সাতজন। সাকিব আমাদের লজ্জা দিতে আসছে। অর টাকার মধ্যে থু মারি, থু। অয় আমাদের ভ্যাট-ট্যাক্সের টাকায় চলে, বেতন নেয়। ওর বাবার কাছ থেকে বেতন নেয় না। সে বিমানে চলে, বাড়ি-গাড়ি করছে, সে অর বাপের টাকা দিয়ে করে নাই।

Suggested Post :  চট্টগ্রাম টেস্টের টিকিটের মূল্য প্রকাশ, স্বল্প মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে টিকি

নিজেদের বর্তমান অবস্থা জানিয়ে ব্যবসায়ীরা বলেন, আজকে তো আমরা রাস্তার ফকির হয়ে গেছি। গত পরশু দিন ২০ হাজার টাকা আমাদের কাছে হাতের ময়লা ছিল। একসময় আমরা মানুষকে কাপড় দিতাম, কিন্তু এখন মানুষের কাছে চাওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়ে গেছে।

তবে সকল দেশবাসীকে এগিয়ে আসার অনুরোধ করেন সাকিব। বলেন, ‘এই মর্মান্তিক ভয়ানক পরিস্থিতিতে আমরা আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত সকল ভাই ও বোনদের সাহায্য করার জন্য নিজ উদ্যোগে এগিয়ে আসতে পারি। আসুন এখন একে অপরের পাশে দাঁড়াই। এই রমজান মাসে মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর রহমত ও বরকতে আমাদের এই ক্ষতি পূরণ করার তৌফিক দান করুন।’