আজ ২৪ মার্চ, শেষ হয়েছে পানামার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ। এই ম্যাচে জয়টাও এসেছে ২-০ ব্যবধানে। এ দিন জয়ের সব ছাপিয়ে এদিন কিছুক্ষণের জন্য লুসাইলের সেই বিশ্বকাপের ফাইনালের ভেন্যুতে পরিণত হলো যেন বুয়েন্স আয়ার্সের মনুমেন্টাল স্টেডিয়াম। বিশ্বকাপ জয়ী মেসিদের তুমুল কোরাসে বিশ্বজয়ীদের অভ্যর্থনা জানালেন।

বিশ্বজয়ের মাস তিনেক পর বিশ্বসেরা লিওনেল মেসিরাও মেতে উঠল শিরোপার উদযাপনে। তবে এরই ফাঁকে মঞ্চস্থ হলো লুসাইলের ফাইনালে মার্টিনেজের সেই বিতর্কিত উদযাপন। সেটিও আবার দলবেঁধে। গতবছরের শেষ কাতার বিশ্বকাপ জয়ের মঞ্চে বিশ্বকাপের সেরা গোলকিপার আর্জেন্টাইন তারকা এমিলিয়ানো মার্টিনেজের অশ্লীল উদযাপন নিয়ে কম কথা হয়নি। একের পর এক সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছিলেন আর্জেন্টাইন এই বিশ্বসেরা গোলরক্ষক। তবে বিশ্বকাপ জয়ের পর জাতীয় দলের হয়ে প্রথমবার মাঠে নামতেই সব হাওয়া।

Suggested Post :  ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল ২০২২ সময়সূচি প্রকাশ

গত বছর বিশ্বকাপ ফাইনালে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আসর সেরা গোলকিপারের পুরস্কার ‘গোল্ডেন গ্লোভস’ নিতে মঞ্চে উঠেছিলেন আর্জেন্টাইন তারকা মার্টিনেজ। পুরস্কারটি নিয়ে তা ঠিক কোমরের সামনের অংশে ধরে উদযাপন করেন মঞ্চেই। যা নিয়ে সমালোচনা করেছেন অনেকেই।

পরে ‘ফ্রান্স ফুটবল’ সাময়িকীকে মার্টিনেজ বলেছিলেন, ‘আসলে এমন কিছু বিষয় আছে যা আমি দ্বিতীয়বার কখনো একইভাবে করতে চাইব না। সতীর্থদের সঙ্গে মজা করতে ওটা করেছিলাম। কোপা আমেরিকাতেও করেছি। এমনকি লিও (মেসি) নিজেও আমাকে ওটা করতে নিষেধ করেছিল। কিন্তু আমি ওদের জন্যই করেছি।’

Suggested Post :  নেপালের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে মাঠে নামছে বাংলাদেশ, দেখেনিন সময়

মার্টিনেজ নিজের কথা রাখতে পারলেন না। সেই বিতর্কিত উদযাপন আবারো করলেন। অবশ্য পানামার বিপক্ষে জয়ের পর বিতর্কিত সেই উদযাপন মার্টিনেজ একাই করেননি, তার সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন এরমান পেৎসেলা, গুইদো রদ্রিগেজ, জেরোনিমো রুলি ও মার্কাস আকুনা। পাঁচজনই বিশ্বকাপের রেপ্লিকা ট্রফি কোমরের সামনের অংশে উঁচিয়ে ধরে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে উদযাপন করেন। দর্শকরাও দৃশ্যটি উপভোগ করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিটি ভাইরাল হতে সময় লাগেনি।