কাতারে লিজেন্ডসদের ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বুমবুম আফ্রিদির এশিয়া লায়ন্স। ফাইনালে বুড়ো হাড়ের ভেল্কি দেখান বাংলাদেশের স্পিনার আবদুর রাজ্জাক। সাবেক টাইগারদের এই বাঁহাতি স্পিনারের অসাধারণ পারফরম্যান্সের কল্যাণে ওয়ার্ল্ড জায়ান্টসকে ৭ উইকেটে হারিয়ে লিজেন্ডস লিগ ক্রিকেট মাস্টার্সে চ্যাম্পিয়ন হলো শহীদ আফ্রিদির নেতৃত্বাধীন এশিয়া লায়ন্স।

দুইবায়ে অনুষ্ঠিতটুর্নামেন্টে যে কয়টি ম্যাচ খেলেছেন রাজ্জাক সবগুলোতেই মিতব্যয়ী ছিলেন তিনি। ওয়াল্ড জায়ান্টস মূলত তার ঘূর্ণিতেই ১৪৭ রানে আটকে যায়। বাকি কাজটুকু করেছেন এশিয়া লায়ন্সের ব্যাটাররা। এর আগে ব্যাট করতে নেমে রাজ্জাকের ঘূর্ণিতে ১৯ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে ওয়ার্ল্ড জায়ান্টস। এরপর জ্যাক ক্যালিসের ৫৪ বলে ৭৮ রান ও রস টেইলরের ৩৩ বলে ৩২ রানের কল্যাণে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান তোলে শেন ওয়াটসনের ওয়ার্ল্ড জায়ান্টস।

Suggested Post :  ২০২৩ বিশ্বকাপে খেলতে পারবে না উইন্ডিজ!

রাজ্জাক তার প্রথম ওভার থেকে ৩ রান দেন। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে এসে উইকেটের দেখা পান রাজ্জাক। এরপর তৃতীয় ওভারে এসে অধিনায়ক ওয়াটসনকে এলবির ফাঁদে ফেলেন বাংলাদেশের বাঁ হাতি স্পিনার। নিজের শেষ ওভারে এসে রান দেন মাত্র ২। চার ওভার শেষে তার বোলিং ফিগার গিয়ে দাঁড়ায় ৪-০-১৪-২। ৪০ বছর বয়সেও বোলিং ধার যেন এতটুকু কমেনি! ফাইনালসেরাও হয়েছেন তিনি।

Suggested Post :  ২৯ বলে ১১৮ রানের দানবীয় সেঞ্চুরী; বাংলাদেশ খুজে পেল বাংলার গেইল (ভিডিও)

১৪৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে এশিয়া লায়ন্সের দুই ওপেনার উপুল থারাঙ্গা ও তিলকারত্নে দিলশান স্কোরবোর্ডে জমা করেন ১১৫ রান। থারাঙ্গা ৫৭ ও দিলশান ৫৮ রানে থামেন। মাঝে পাকিস্তানের আব্দুল রাজ্জাক ৩ রান করে আউট হলেও এশিয়ান লায়ন্সদের জয় পেতে বেগ পেতে হয়নি। মোহাম্মদ হাফিজ ৯ ও মিসবাহউল হক ৯ রানের অপরাজিত ছিলেন। শেষ পর্যন্ত ২৩ বলে ও ৭ উইকেট হাতে নিয়ে শিরোপা নিজেদের করে নেয় এশিয়া।