বগুড়া থেকে জাতীয় দলের আসা পর্যন্ত যে কঠিন পথ পাড়ি দিয়েছেন হৃদয় তা থমকে যেতে পারত শুরুতেই। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন পূরণের পথে পা বাড়িয়ে প্রতারণার শিকার হন। মায়ের জমানো টাকা দিয়ে রাজধানীর বনশ্রীতে এক ক্রিকেট একাডেমিতে ভর্তি হয়েছিলেন।

কিন্তু কয়েকদিন পরই উধাও সেই একাডেমি। ভাঙে হৃদয়ের হৃদয়! পুচকে ফিরে যান বগুড়ায়। ২০১২ সালের সেই ঘটনায় ওলটপালট হয়ে যেতে পারতো হৃদয়ের স্বপ্ন। তবে তেমনটা হয়নি। বিধাতা যার নামের পাশে ক্রিকেটার শব্দটি যুক্ত করে দিয়েছেন তার তো ক্রিকেটার হতেই হবে।

বছর চারেক পর খালেদ মাহমুদ সুজনের তত্ত্বাবধানে রাজশাহীর বাংলা ট্র্যাক একাডেমিতে পুনরায় পথচলা শুরু হৃদয়ের। ব্যাস সেখানেই বাজিমাত। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বহু ক্রিকেটারের গুরু খালেদ সুজনের হাত ধরে বড় মঞ্চে পথচলা শুরু করেন।

Suggested Post :  এইমাত্র শেষ হলো ফ্রেন্স কাপের দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলা পিএসজি বনাম নিসের ম্যাচ, দেখেনিন ফলাফল

প্রথমে যুক্ত হন বয়সভিত্তিক দলে। পরবর্তীতে ঘরোয়া ক্রিকেটেও নিয়মিত হয়ে পড়েন ডানহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। ২০২০ সালে যুব বিশ্বকাপ জেতা এ ক্রিকেটার কঠিন সময় পেরিয়ে বড় মঞ্চ আলোকিত করায় যারপরনাই খুশি।

গতকাল ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সেই গল্পই সাংবাদিকদের শোনালেন হৃদয়। যেখানে তারা জাতীয় দলে আসার পেছনে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজনের বড় অবদান রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Suggested Post :  করোনায় আক্রান্ত রোমান রেইনস, ব্রক লেসনারের চমক

“যখন একাডেমিতে গিয়েছিলাম, অনেক কিছু আসলে ক্ষতি করেই গিয়েছিলাম। তারপর একটা সময় ক্রিকেট খেলার কোনও ইচ্ছে ছিল না। পরিবার থেকে ওভাবে কোন সাপোর্ট ছিল না। বাবার সাপোর্ট ছিল না। যদিও বাবা খেলা বুঝে না।

“আমি যখন জেদ ধরতাম মায়ের সঙ্গে, যতটুকু পেরেছে আর কী চেষ্টা করেছে। সেসময় সুজন স্যার… আসলে সেই ছোট বেলাতেই,যখন আমি অনূর্ধ্ব-১৬ খেলি, সুজন স্যার ওখান থেকে নিয়ে এসেছে এবং উনি আসলে সুযোগ করে দিয়েছে। ওখান থেকে ফাস্ট ডিভিশন খেলে আস্তে আস্তে ওখান থেকেই উঠে আসা।”