
গতকাল বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয় পেয়েছে টাইগাররা। যেখানে বড় অবদান ছিল অভিষেক হওয়া তাওহিদ হৃদয়ের। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেকে খেলতে নেমেই ৮৫ বলে ৯২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তাওহীদ হৃদয়। নিজের অসাধারণ ইনিংসের পর কৃতিত্ব দিয়েছেন সাকিব আল হাসানকেও। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের সঙ্গে হৃদয়ের ১৩৫ রানের জুটিই যে বদলে দিয়েছে ম্যাচের দৃশ্যপট!
হৃদয়ের খেলা দেখে মনেই হয়নি তিনি যে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন। সাবলীল এই ইনিংসে আটটি চারের সঙ্গে দুটি বিশাল ছক্কাও হাঁকিয়েছেন ২২ বছর বয়সী ডানহাতি এই তরুণ ব্যাটার।
মুশফিকুর রহিমের মতো সিনিয়র ব্যাটারের আগে নেমে এই ইনিংস খেলে দলকে নিরাপদ একটি সংগ্রহও এনে দিয়েছেন তিনি। শেষদিকে মুশফিক ২৬ বলে ৪৪ রান করলে বড় সংগ্রহই পেয়ে যায় বাংলাদেশ।
আর যার সঙ্গে লম্বা জুটি গড়েছেন হৃদয় সেই সাকিব করেছেন ৮৯ বলে ৯৩ রান। ৯টি চারে সাজানো ছিল সেই ইনিংস। নিজের ইনিংসটি খেলার পাশাপাশি হৃদয়কেও আত্মবিশ্বাস যুগিয়েছেন সাকিব।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের পর হৃদয় বলেন, ‘আমি প্রথম থেকে চেয়েছিলাম ইন্টেন্ট যাতে ঠিক থাকে। কখনও ভাবিনি যে সেট হয়ে নেই একটু বা ওরকম কিছু। চেষ্টা করেছি প্রতিটি বলের মান অনুযায়ী খেলার। সাকিব ভাইয়ের সঙ্গে খেলা ভালো একটা ব্যাপার, কারণ উনি অনেক অভিজ্ঞ। সাকিব ভাইয়ের সঙ্গে ব্যাটিংয়ের সময়ই অনেক কিছু শিখছিলাম। উনিও বলছিলেন, এভাবে-ওভাবে করলে ভালো হবে। উপভোগ করেছি অনেক।’
‘যখন মনে হয়েছে কিছু জানার দরকার, তখন জিজ্ঞাসা করেছি যে ভাই কী করলে ভালো হয়। সাকিব ভাই বলেছেন, ‘এটা ওভাবে করতে পারি।’ এছাড়াও সবসময় বলছিলেন যে, ‘ভালো হয়েছে, ধরে রাখ। যতটা লম্বা করা যায় ইনিংস।’
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩০.৫ ওভারে মাত্র ১৫৫ রানে অলআউট হয় আয়ারল্যান্ড। বাংলাদেশের হয়ে ৪২ রান খরচায় চার উইকেট নেন এবাদত হোসেন। ৪৩ রান খরচায় তিন উইকেট নেন নাসুম আহমেদ।