আজ থেকে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার ওয়ানডে সিরিজ। প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে টস জিতে আগে বোলিং সিদ্ধান্ত নেয় আয়ারল্যান্ড। টস হেরে আগে ব্যাটিং নামে। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৮ উইকেটে ৩৩৮ রান স্কোর বোর্ডে জমা করে বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দারুন শুরু করে আয়ারল্যান্ড। তবে দুই ওপেনার ফেরার পর বাংলাদেশের বোলিং তোপে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে আয়ারল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত ৩০.৫ ওভারে অলআউট হয়ে যায় আয়ারল্যান্ড। সব কয়টি উইকেট হারিয়ে ১৫৫ তুলে আয়ারল্যান্ড।
তাতেই রেকর্ড জয় পেল বাংলাদেশ। সিলেটে আয়ারল্যান্ডকে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে স্বাগতিকেরা হারাল ১৮৩ রানে। রানের হিসেবে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয় এখন এটিই। এর আগে বাংলাদেশ ভেঙেছিল নিজেদের সর্বোচ্চ স্কোরের রেকর্ড।
এক নজরে দেখেনিন বাংলাদেশের রেকর্ড গুলো:
ফলাফলের দিক দিয়ে রেকর্ড: বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা ১৮৩ রানের বিশাল জয় তুলে নিয়েছে টাইগাররা। এর আগে ১৬৯ রানের বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয় ছিল, ২০২০ সালে সিলেটেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এসেছিল সেটি।
মুশফিকের বিশ্বরেকর্ড:
এই ম্যাচে ৫টি ক্যাচ ধরেছেন মুশফিক। বাংলাদেশের যৌথভাবে যেটি রেকর্ড। এর আগে ২০১৫ সালে ভারতের বিপক্ষে মুশফিকই নিয়েছিলেন ৫টি ক্যাচ। বিশ্ব রেকর্ড ৬টি। মুশফিক সর্বশেষ নিয়েছেন মার্ক এডেয়ারের ক্যাচ, ইবাদত হোসেনের বলে।
তৌহিদ হৃদয়ের রেকর্ড:
টি-টোয়েন্টির পর ওয়ানডে—হৃদয় যেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে চেনেন ভীষণ ভালোভাবেই। সিলেটে অভিষেক ওয়ানডেতে ফিফটি পেয়ে গেলেন তিনি। গ্রাহাম হিউমের বলে সিঙ্গেল নিয়ে মাইলফলকে গেলেন হৃদয়, ফিফটি করতে তাঁর লেগেছে ৫৫ বল।
সাকিবের রেকর্ড:
এ ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন মাইলফলক থেকে ২৪ রান দূরে থেকে। কার্টিস ক্যাম্ফারের বলে মিড অফে সিঙ্গেল নিয়ে ওয়ানডেতে ৭ হাজার রান পূর্ণ করলেন সাকিব। তামিম ইকবালের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ৭ হাজার রান হলো তাঁর।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজেই ৩০০ ওয়ানডে উইকেট পেয়েছিলেন সাকিব। ৭ হাজার রান ও ৩০০ উইকেট—সাকিবের আগে ওয়ানডেতে এমন ‘ডাবল ছিল আর দুজনের—সনাত জয়াসুরিয়া ও শহীদ আফ্রিদির।