সৌম্য সরকারের ব্যাটে ভালো শুরুর পর হঠাৎই ছন্দপতন হয় বিসিবি একাদশের। বিনা উইকেটে ৩৫ রান তোলা বিসিবি একাদশ ৫ উইকেট হারায় দলের রান একশ পেরোনোর আগেই।

নিজেদের শেষ ৫ উইকেটে ৮৬ রান যোগ করলেও প্রস্তুতি ম্যাচে জয় পাওয়া হয়নি বিসিবি একাদশের। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় বৃষ্টিবিঘ্নিত একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে স্বাগতিকরা হেরেছে ৭৫ রানে।

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের ২ নম্বর গ্রাউন্ডে থেমে থেমে বেশ কয়েকবারই হানা দিয়েছে বেরসিক বৃষ্টি। বৈরি আবহাওয়ার কারণে প্রতি ইনিংসের দৈর্ঘ্য নামিয়ে আনা হয় ৪০ ওভারে।

এমন ম্যাচে জয়ের জন্য ২৫৬ রান তাড়া করতে শুরুটা বেশ ভালো করেছিল বিসিবি একাদশ। জাকির ও সৌম্য ৬ ওভারে ৩৫ রান তোলার পর নিজেদের প্রথম উইকেট হারায়। গ্রাহাম হিউমের বডি লাইন বরাবর করা বাউন্সারে পুল করতে চেয়েছিলেন জাকির।

শটের ওপর নিয়ন্ত্রণ না থাকায় ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে কার্টিস ক্যাম্ফারকে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয় ১৮ রান করা এই ব্যাটারকে।তিনে নেমে আশা দেখাতে শুরু করেছিলেন আশফাক আহমেদ রোহান।

অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনের গুড লেংথ ডেলিভারিতে উড়িয়ে মারতে গিয়ে গ্যারেথ ডেলানিকে ক্যাচ দিয়ে বসেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। তরুণ রোহান এদিন আউট হয়েছেন ২১ বলে ১৮ রান করে।

Suggested Post :  ছক্কা মেরে দর্শকের রক্ত ঝরালেন অজি ব্যাটসম্যান, ভিডিও ভাইরাল (ভিডিও)

রোহানের বিদায়ের পরের ওভারে ক্যাম্ফারকে চার ও ছক্কা মেরে হাফ সেঞ্চুরির কাছে যান সৌম্য। এদিকে চারে নেমে সুবিধা করতে পারেননি শাহাদাত হোসেন দিপু।

ম্যাকব্রাইনের বলে কাট করতে গিয়ে স্লিপে থাকা অ্যান্ডি বালবির্নিকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তরুণ এই ব্যাটার। দিপু আউট হওয়ার পর সাজঘরে ফিরেছেন সৌম্যও। ম্যাথু হামফ্রেসের শর্ট ডেলিভারিতে মিড উইকেটের উপর দিয়ে পুল করতে চেয়েছিলেন তিনি।

ঠিকঠাক টাইমিং না হওয়ায় ধরা পড়তে হয় মিড উইকেটে থাকা ক্যাম্ফারের হাতে। হাফ সেঞ্চুরির আশা জাগানো সৌম্য এদিন আউট হয়েছেন ৪৬ বলে ৪৮ রান করে।

ইনিংসটি খেলতে সৌম্যর ব্যাট থেকে এসেছে সাতটি চার ও দুটি ছক্কা। ইয়াসির আলী রাব্বি ফিরে গেছেন মাত্র ৩ রানে। তাতে মাত্র ৯৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে বিসিবি একাদশ।

এরপর অবশ্য আকবর আলী ও শামীম হোসেন পাটায়ারি মিলে স্বাগতিকদের টেনে তোলার চেষ্টা করেন। তবে তাদের জুটি বড় করতে দেননি ডেলানি।

Suggested Post :  ভারতের বিপক্ষে সিরিজের জন্য বাংলাদেশের ১৭ সদস্যের ওয়ানডে স্কোয়াড ঘোষণা

২৬ রান করা আকবরকে স্টিফেন দোহানির হাতে ক্যাচ বানিয়ে তাদের ৪৫ রানের জুটি ভাঙেন তিনি। আশা জাগানো শামীম আউট হয়েছেন ৩৫ রানের ইনিংস খেলে।

শামীমের বিদায়ের পর দ্রুতই উইকেট হারিয়ে ১৮১ রানে অল আউট হয় বিসিবি একাদশ। আয়ারল্যান্ডের হয়ে ম্যাকব্রাইন তিনটি এবং মার্ক অ্যাডায়ার নিয়েছেন দুটি উইকেট।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৪০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৫৫ রানের পুঁজি পায় আয়ার‌ল্যান্ড। তাদের হয়ে ক্যাম্ফার অপরাজিত ৭৫, পল স্টার্লিং ৫৪, ডেলানি ৩৬ এবং দোহানি ৩০ রান করেছেন। বিসিবি একাদশের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন রিশাদ হোসেন ও রেজাউর রহমান রাজা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

আয়ারল্যান্ড- ২৫৫/৬ (৪০ ওভার) (ক্যাম্ফার ৭৫*, স্টার্লিং ৫৪, ডেলানি ৩৬, দোহানি ৩০; রিশাদ ১/৫০, রাজা ১/৫১)

বিসিবি একাদশ- ১৮১/১০ (৩২.১ ওভার) (সৌম্য ৪৮, শামীম ৩৫, আকবর ২৬; ম্যাকব্রাইন ৩/১২, অ্যাডায়ার ২/৩৬)