আগামী ৩১ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। প্রত্যেকটা দলই এই মুহূর্তে শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। ইতিমধ্যে কলকাতা নাইট রাইডার্সের মাথায় ইতিমধ্যেই বাজ পড়েছে।

অহমেদাবাদে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া চতুর্থ টেস্ট ম্যাচের চতুর্থ দিনে আচমকাই কোমরে চোট পেয়েছেন শ্রেয়স আইয়ার।

আপাতত যা শোনা যাচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে ক্রিকেট সিরিজ তো তিনি খেলবেনই না, তার উপরে আইপিএল টুর্নামেন্টেও তিনি খেলতে পারবেন কি না, সেটা এখনই বলতে পারা যাচ্ছে না।

এই পরিস্থিতিতে কলকাতা নাইট রাইডার্স দলকে কে নেতৃত্ব দেবেন, সেই প্রশ্ন এখন থেকেই সমর্থকদের মনে উঁকি মারতে শুরু করেছে। তবে নাইট ফ্যানেদের একাংশের দাবি, যদি শ্রেয়স আইয়ার একান্তই না খেলতে পারেন, তাহলে যেন ‘বাংলাদেশের টাইগার’ সাকিব আল হাসানকেই যেন অধিনায়ক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। এমনটাই খবর প্রচার করেছে কলকাতার একটি প্রথম সারির অনলাইন পত্রিকা।

Suggested Post :  ভবিষ্যবাণীঃ আইপিএল প্লে অফে মুস্তাফিজদের খেলা নিয়ে পন্টিংয়ের ভবিষ্যবাণী

তাদের রিপোর্টে বলা হয়েছে, যদি শ্রেয়স আইয়ার একান্তই না খেলতে পারেন এবং নাইট ম্যানেজমেন্টকে নতুন করে অধিনায়ক বাছতে হয়, তাহলে সাকিব আল হাসান কিন্তু শেষবেলায় তুরুপের তাস হয়ে উঠতে পারেন।

কারণ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা তাঁর মধ্যে রয়েছে। কোনও জায়গায় ভুলভ্রান্তি দেখলেই তিনি গলার সুর চড়াতে পারে। পাশাপাশি ইতিপূর্বে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়েও তিনি খেলে গিয়েছে। ফলে ড্রেসিংরুমের পরিবেশ সম্পর্কে তিনি খুব ভালো করেই ওয়াকিবহাল।

তবে একটা সমস্যা আছে আইপএলের শুরুর দিকে বাংলাদেশ খেলবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। আর জাতীয় কর্তব্য পালনের জন্য আইপিএল টুর্নামেন্টের প্রথম কয়েকটা ম্যাচে সাকিবকে নাও পেতে পারে নাইট ব্রিগেড।

Suggested Post :  হারলেই বাদ সমিকরণে লিটন দাসকে রেখে একাদশ ঘোষণা করলো কেকেআর

যদিও এই প্রসঙ্গে বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন বাংলাদেশের এই তারকা ক্রিকেট অলরাউন্ডারের আইপিএল খেলা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘সাকিব এনওসি চাইলে তখন বলতে পারব। এখনও ও কিছু চায়নি। আমি কি জোর করে চাওয়াব?’

তবে সাকিব যে কলকাতা নাইট রাইডার্সের লম্বা দৌড়ের ঘোড়া, তা ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের এই তারকা অলরাউন্ডার প্রমাণ করে দিয়েছেন। তাঁর মধ্যে যে ক্ষিপ্রতা, দক্ষতা এবং অসাধারণ নেতৃত্বগুণ রয়েছে, তা অন্যদের থেকে অবশ্যই আলাদা করেছে।

সেক্ষেত্রে যদি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সাকিবের উপর কোনও বিধিনিষেধ আরোপ না করে, তাহলে শ্রেয়সের অনুপস্থিতিতে তিনিই যোগ্য অধিনায়ক হয়ে উঠতে পারবেন।