টি-টোয়েন্টিতে নতুন ইতিহাস গড়লেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজ

Untitled design 2023 03 14T222655.584

টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে তৃতীয় বার এমন ধবলধোলাই হল জস বাটলাররা। ফলে বাংলাদেশের এই সফরটা হয়তো অনেকদিন মনে থাকবে ইংলিশদের। টি-টোয়েন্টি সিরিজের তিন ম্যাচেই ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবিয়েছে টাইগাররা।

কয়েকদিন ধরেই সময়টা ভালো যাচ্ছিল না মুস্তাফিজুর রহমানের। সমালোচনা এখন দলে তার অবস্থান নিয়েও। কিন্তু তারকা জবাব দিলেন তারকার মতোই। দলের প্রয়োজনে দিলেন নিজের সেরাটা। আর তাতে ইংলিশদের হাতের মুঠোয় থাকা জয় ছিনিয়ে নিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল।

হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্যে মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডকে ১৫৯ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল বাংলাদেশ। লক্ষ্য তাড়ায় ১৩ ওভারে ১০১ রান করে দলকে ভালোভাবেই এগিয়ে রাখছিলেন জস বাটলার ও ডেভিড মালান।

ফিফটি তুলে নিয়ে মালান ততক্ষণে রুদ্রমূর্তি ধারণের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। এমন সময় বোলিংয়ে এলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ওভারের প্রথম বলেই মালানকে বাউন্সারের ফাঁদে ফেলে ফেরান বাঁহাতি এ পেসার। আর তাতে বাংলাদেশ মোমেন্টাম পেয়ে যায়। কারণ পরের বলেই বাটলারকে রান আউট করে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ।

মালানের উইকেটে অনন্য রেকর্ড হয়েছে মুস্তাফিজের। এই উইকেট নিয়ে বাংলাদেশি বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম ১০০ উইকেট নেয়ার কীর্তি গড়লেন তিনি। শুধু তাই নয়, এই ফরম্যাটের ইতিহাসে চতুর্থ দ্রুততম ১০০ উইকেট এখন তার। ৮১ ম্যাচ খেলে এই কীর্তি গড়লেন মুস্তাফিজ।

সবার আগে মাত্র ৫৩ ম্যাচ খেলে টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেট নেয়ার কীর্তিটা গড়েছেন রশিদ খান। মালিঙ্গার সময় লেগেছে ৭৬ ম্যাচ। ইশ সোধি নিয়েছেন ৭৮ ম্যাচ। বাংলাদেশের আরেক তারকা সাকিব আল হাসানও আছেন তালিকায়। মুস্তাফিজের ঠিক পরেই তিনি। ১০০ উইকেটের মাইলফলক গড়তে খেলেছেন ৮৪ ম্যাচ।

ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ১৬ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। অথচ এক সময় প্রায় হারের দ্বারপ্রান্তে ছিল সাকিবরা। সেখান থেকে তাদের ম্যাচে ফেরানোর কৃতিত্বটা নিঃসন্দেহে যাবে মুস্তাফিজের কাঁধে। আর ম্যাচশেষে তার বোলিং ফিগারও তো ছিল বেশ চমৎকার। ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৪ রানে ৪ উইকেট।

You May Also Like