টানা দুই ম্যাচ জিতে আগেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিশ্চিত করেছিল টাইগাররা। এবার ইংল্যান্ডকে শেষ টি-টোয়েন্টিতে ১৬ রানে হারিয়ে হোয়াটওয়াশের লজ্জা দিল বাংলাদেশ। ১৫৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪২ রান তোলে ইংলিশরা।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৪৪ আর্চারের বলে নিশ্চিত ক্যাচ থেকে বেঁচে যান রনি তালুকদার। জীবন পেয়ে নিজের ইনিংস বড় করতে পারেনি এই ওপেনার। ২২ বলে ২৪ রান করে আদিল রশিদের বলে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তিনি। এরপর শান্তকে সাথে নিয়ে ৪১ বলে ৮ বাউন্ডারিতে লিটন হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন লিটন।
১২.৩ ওভারে ১ উইকেটে বাংলাদেশের দলীয় রান তখন ১০১। হাফসেঞ্চুরির পর নিশ্চিত ক্যাচ মিসে জীবন পান লিটন। ১৪তম ওভারে আর্চারের প্রথম বলে লিটনের ক্যাচ মিস করেন ডাকেট। নতুন জীবন পেয়ে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেন এই ওপেনার। দলীয় ১৭ ওভারের শেষ বলে ক্রিস জর্ডানের বলে ব্যক্তিগত ৭৩ রানে থামেন এই ওপেনার। তার বিদায়ে শান্তর সাথে ৫৮ বলে ৮৪ রানের জুটি ভাঙে যায়। ১৩৯ রানে লিটনের বিদায়ের পর সাকিবকে সাথে জটি গড়েন শান্ত। কিন্তু এরপর রানে গতি কমে যায়। শেষ তিন ওভারে মাত্র ২১ রান করে বাংলাদেশ। শান্ত ৩৬ বলে এক বাউন্ডারি ও দুই ছক্কায় অপরাজিত ৪৭। কিন্তু সাকিব ৬ বলে মাত্র ৪ রান করে অপরাজিত থাকেন।
রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় ইংলিশরা। প্রথম ওভারেই সল্টকে শূন্য রানে ফিরিয়ে ইংলিশ শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন অভিষিক্ত স্পিনার তানভীর ইসলাম। দলীয় ৫ রানে সল্টকে হারানোর পর মালান-বাটলারের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় ইংলিশরা। দ্বিতীয় উইকেটে জস বাটলারকে সঙ্গে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন পঞ্চাশ রানের জুটিতে দলকে জয়ের পথেই রাখেন এই ওপেনার। থম দুই ম্যাচে ব্যর্থ মালানসিরিজের শেষ ম্যাচে এসে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। ৪৩ বল খেলে ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূরণ করেন তিনি। কিন্তু ৫৩ রান করে মুস্তাফিজের বলে উইকেটের পেছনে লিটনের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
মালান ফেরার পরের বলেই রান আউটে কাটা পড়েন বাটলার। ইংলিশ অধিনায়ক সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৪০ রান। এক ওভারে দুই সেট ব্যাটারকে সাজঘরে ফিরিয়ে আবারও ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। বিপরীতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারায় ইংল্যান্ড। তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে অসাধারণ ব্যাট করে সিরিজ সেরার পুরস্কার জিতেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তৃতীয় ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন লিটন কুমার দাস।
সাকিব আল হাসান বলেন,‘আমরা এই সিরিজে সত্যিই ভালো ছিলাম এবং ব্যতিক্রমী ভালো ফিল্ডিং করেছি এবং এটি একটি বড় পরিবর্তন। আগামী বছর একটি বিশ্বকাপ আছে এবং মরা এই জয়ের উপর ভিত্তি করে গড়ে তুলতে পারি। আমরা একটি কঠিন উইকেটে সত্যিই ভাল ব্যাটিং করেছি এবং আমরা জানতাম না যে একটি ভাল টোটাল কী। লিটন ও রনি ভালো শুরু করেন এবং শান্তো শেষ করেন। দুই বলের মধ্যে দুই সেট ব্যাটস আউট হয়ে যাওয়ায় পুরো খেলাটাই পাল্টে যায়, বল হাতে অসাধারণ ছিলেন মুস্তাফিজুর। এটা আমাদের জন্য আরেকটি চ্যালেঞ্জ হবে। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আয়ারল্যান্ড খুব ভালো দল।
সিরিজ সেরা নাজমুল হোসেন শান্ত,‘সর্বশক্তিমান আল্লাহকে ধন্যবাদ। এই সিরিজ জেতা ভালো ব্যাপার। সকল কোচিং স্টাফ ও খেলোয়াড়দের বিশেষ ধন্যবাদ। দল হিসেবে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, আমরা ভালো ফিল্ডিং করলে বোলারদের সাহায্য করে। আমাদের একটি বড় সিরিজ আসছে, আমরা আশা করি আমরা আমাদের ভালো পারফরম্যান্স চালিয়ে যেতে পারব।