চলমান ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজের শেষ ম্যাচে নিজেদের প্রথম ইনিংসে চতুর্থ দিনে বিরাট কোহলির পুরনো ছন্দে দুরন্ত সেঞ্চুরি হাঁকান। এবং সাতে ব্যাট করতে নেমে অক্ষর প্যাটেল একটি বিস্ফোরক হাফসেঞ্চুরি করেন। সেই সঙ্গে দুই তারকা মিলে ভারতকে সাড়ে ৫০০ পার করিয়ে দেন।

শীর্ষ ছয় ভারতীয় ব্যাটিং জুটি কমপক্ষে পঞ্চাশ রানের পার্টনারশিপ করেছে, যা বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির সিরিজ নির্ধারক ম্যাচের শেষ দিনেও বুঝিয়ে দিয়েছে, আমদাবাদে পুরোটাই ব্যাটিং পিচ। রবীন্দ্র জাদেজা এবং কেএস ভরতের সঙ্গে কোহলি জুটিতে পঞ্চাশ রানের পার্টনারশির করার পর, তিনি তাঁর ২৮তম টেস্ট সেঞ্চুরি করেন এবং ষষ্ঠ উইকেটে অক্ষর প্যাটেলের সঙ্গে ১৬২ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। যা ভারতকে ১০০ রানের কাছাকাছি লিড পেতে সাহায্য করে।

কোহলি এবং অক্ষর দু’জনে মিলেই অস্ট্রেলিয়ান বোলিংকে ছিন্নভিন্ন করতে থাকেন। বিশেষ করে অক্ষর প্যাটেল তাঁর হাফসেঞ্চুরি পূূরণ করার পরে তাণ্ডব চালিয়েছিলেন। তিনি ১০ বলের ব্যবধানে তিনটি ছক্কা এবং একটি চার মারেন। আর আমদাবাদের দর্শকরা তাঁদের ঘরের ছেলের এই তাণ্ডবটা বেশ উপভোগ করেন।

Suggested Post :  ব্যাট হাতে রান করেই ট্রলের জবাব দিতে চান মোহাম্মদ মিঠুন

৫০ করার পর অক্ষর যে তাণ্ডব শুরু করেছিলেন, তার প্রথম শটটিই ছিল ছক্কা। ম্যাথিউ কুনম্যানকে তিনি লম্বা ছক্কা হাঁকান। বাঁ-হাতি ব্যাটাররা সব সময়ে বাঁ-হাতি স্পিনারদের মুখোমুখি হতে পছন্দ করেন। কারণ শট খেলা তাদের জন্য সহজ হয়ে যায়। আর অক্ষর সেই সুযোগই কাজে লাগিয়েছেন। তিনি ১৬৮.৩ ওভারে কুনম্যানের বলটি সুইপ করেন। কিছুটা বেন্ড হয়ে ৮০-মিটার লম্বা ছক্কা হাঁকান।

বলটি সোজা গ্যালারিতে চলে যায়। সেখানে একজন যুবক বলটি পেয়ে আবার ফিরিয়ে দেন। এ দিকে কোহলি ননস্ট্রাইকার জোনে দাঁড়িয়ে অক্ষরের ছক্কা উপভোগ করেছিলেন। কোহলি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বলটির গতিপথ অনুসরণ করেছিলেন। এবং অক্ষরের নিখুঁত শটটি তিনি রীতিমতোই উপভোঘই করছেন। যা তাঁর বডিল্যাঙ্গোয়েজে পরিষ্কার। গাল ভরা হাসির মাধ্যমে তিনি বুঝিয়ে দেন, কতটা খুশি হয়েছেন। এবং হাত তুলে জানিয়ে দেন, ঠিক আছে সব।

Suggested Post :  একাধিক চমক দিয়ে টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের বাংলাদেশ দল ঘোষণা

কোহলি এবং অক্ষর একসঙ্গে একটি বিস্ফোরক ইনিংস খেলেছে। এবং সেটা খুব মজা করে খেলেছে। তাদের মধ্যে ক্রমাগত কাথবার্তা চালাচালি এবং হাসাহাসিই ইঙ্গিত করে যে, তাঁরা কতটা খোলা মেজাজে ব্যাটিং উপভোগ করছিলেন। রবিবার অক্ষর তাঁর টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি করেন। তিনি ১১৩ বলে ৭৯ রান করেন এবং কোহলির সঙ্গে মিলে ভারতকে ভালো জায়গায় নিয়ে যান।

অক্ষর এবং কোহলির অত্যন্ত বিনোদনমূলক পার্টনারশিপের সমাপ্তি ঘটে, যখন ১৭২.৩ ওভারে তারকা অলরাউন্ডার আউট হন। তখন ভারতের স্কোর ৫৫৫। মিচেল স্টার্কের বলে বোল্ড হন অক্ষর। আর কোহলির ক্র্যাম্প হওয়ার পরেই তিনি আউট হন। তবে কোহলির উইকেটই ছিল শেষ উইকেট। ১৮৬-তে কোহলি আউট হতে ভারতও অলআউট হয়ে যায় ৫৭১ রানে। শ্রেয়স আইয়ার খেলতে না পারার কারণ ৯ উইকেট পড়তে ভারতের ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ভারত ৯১ রানের লিড পায়। প্রসঙ্গত, অজিরা প্রথম ইনিংসে ৪৮০ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল।