বায়ার্নের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায় পিএসজির

1678335056 38791f5c88dbf64f680f677ef72fdca9

চ্যাম্পিয়নস লিগে পিএসজিকে আবার হারিয়ে শেষ আটে পৌঁছে গেল বায়ার্ন মিউনিখ। ঘরের মাঠে বুধবার রাতে শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে ২-০ গোলে জিতেছে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা। পিএসজির মাঠে প্রথম লেগে ১-০ গোলে জিতেছিল তারা।

চোটের কারণে পিএসজির পুরো মৌসুম থেকে ছিটকে গেছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার। তার অনুপস্থিতিতে বাড়তি দায়িত্ব ছিল কিলিয়ান এমবাপ্পে, লিওনেল মেসিদের কাঁধে। প্রথমার্ধে স্বাগতিক শিবিরে আতঙ্ক তৈরি করলেও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি পিএসজি। ফলে আরো একবার ইউরোপ সেরার মঞ্চ থেকে শূন্য হাতে ফিরল পিএসজি।

ঘরের মাঠে প্রথম লেগে হেরে কাজটা হয়ে পড়েছিল ভীষণ কঠিন। চ্যাম্পিয়নস লিগে চলতি মৌসুমে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা বায়ার্নের মাঠে জয়ের চ্যালেঞ্জ নিতে পারল না তারা। ৩-০ গোলের অগ্রগামিতায় কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল বায়ার্ন।

খেলতে নেমে দ্বিতীয় মিনিটে গোলের জন্য প্রথম সুযোগ তৈরি করে পিএসজি। এমবাপ্পের শট ঠেকিয়ে দেন বায়ার্ন গোলরক্ষক ইয়ান সমের। ১৯তম মিনিটে আবার সুযোগ পান এমবাপ্পে, এবার তিনি মারেন বাইরে।

ছয় মিনিট পর ডি বক্সে বিপজ্জনক জায়গায় বল পেয়ে যান মেসি। তার তিনটি শট জটলার মধ্য থেকে ফিরিয়ে দেন বায়ার্নের কেউ না কেউ। শেষ পর্যন্ত গ্লাভসে নিতে পারেন সমের।

৩২তম মিনিটে নিজেদের প্রথম ভালো সুযোগ পায় বায়ার্ন। জামাল মুসিয়ালার শটে ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন পিএসজি গোলরক্ষক জানলুইজি দোন্নারুম্মা। ছয় মিনিট পর আশরাফ হাকিমির চ্যালেঞ্জের মুখে সমের তালগোল পাকালে পেয়ে যান ভিতিনিয়া। কিন্তু দুর্বল শটে ফাঁকা জালে বল পাঠাতে পারেননি তিনি। দারুণ স্লাইডে গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন মাটাইস ডি লিখট। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গোলের দারুণ একটি সুযোগ হাতছাড়া করেন এরিক মাক্সিম চুপো-মোটিং। ৫২তম মিনিটে বল জালে পাঠান তিনি। কিন্তু অফসাইডের জন্য গোল মেলেনি।

পিএসজির রক্ষণে প্রবল চাপ তৈরি করা বায়ার্ন এগিয়ে যায় ৬১তম মিনিটে। নিজেদের অর্ধে মার্কো ভেরাত্তি বল হারালে পেয়ে যান লেয়ন গোরেটস্কা। সুযোগ থাকলেও নিজে শট না নিয়ে তিনি খুঁজে নেন অরক্ষিত চুপো-মোটিংকে। বাকিটা অনায়াসে সারেন পিএসজির সাবেক এই ফরোয়ার্ড। ৮২তম মিনিটে গোলের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন রামোস। তবে অভিজ্ঞ এই স্প্যানিশ ডিফেন্ডার একটুর জন্য হেড রাখতে পারেননি লক্ষ্যে। ৮৯তম মিনিটে পিএসজির ক্ষীণ আশাটুকুও শেষ করে দেন সের্গে জিনাব্রি। প্রতি আক্রমণে জোয়াও কানসেলোর কাছ থেকে বল পেয়ে ঠাণ্ডা মাথায় ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি।

দুই লেগ মিলিয়ে ৩-০ গোলের হারে চ্যাম্পিয়নস লিগের এবারের আসর থেকে বিদায় নিল মেসির পিএসজি।

You May Also Like