ওয়ানডে ও টেস্ট ক্রিকেটকে ছাপিয়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে টি-২০ ক্রিকেট। দিন দিন এর জনপ্রিয়তা বাড়তেই আছে। প্রায় দেশেই চালু হচ্ছে ফ্রাঞ্চাইজি টি-২০ টুর্নামেন্ট। আর এই সব টুর্নামেন্টে দাপটের সঙ্গে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন রশিদ খান। টি-টোয়েন্টির ফেরিওয়ালা তিনি। গত বছরে বিশ্বের সব বড় বড় টি-২০ টুর্নামেন্টের অবিচ্ছেদ্য অংশ তিনি। দলগুলো সব মুখিয়ে থাকে রশিদকে দলে নেওয়ার জন্য। লেগ স্পিনের পাশাপাশি দলের প্রয়োজন ব্যাট হাতেও দেখান কারিশ্মা। অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখিয়ে ডি ভিলিয়ার্সের মনও জয় করে নিয়েছেন তিনি।

আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে ব্যাট হাতে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক ভারতের বিরাট কোহলি। তার সংগ্রহ ৪০০৮ রান। ১১৫ ম্যাচে কোহলি একটি শতকের পাশাপাশি হাঁকিয়েছেন ৩৭টি অর্ধশতক। আর ১৩৪ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি। অপরদিকে, বাংলাদেশ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের (১২৮) পাশাপাশি ব্যাট হাতেও করেছেন ২৭১৫ রান। তবে তারা কেউই ডি ভিলিয়ার্সের চোখে টি-টোয়েন্টির সেরা খেলোয়াড় নন।

Suggested Post :  রাসেল ডমিঙ্গো পরিবর্তে বাংলাদেশ জাতীয় দলের দেশি কোচ চান মাশরাফি বিন মুর্তজা

ডি ভিলিয়ার্সের মতে, টি-টোয়েন্টি সংস্করণের সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় হলেন আফগানিস্তানের রশিদ খান। তবে পরিসংখ্যান দেখলে সাকিব আল হাসানের চেয়ে বেশ পিছিয়ে আছেন রশিদ। বল হাতে ২১ গড়ে সাকিবের শিকার ১২৮ উইকেট ও ১৪ গড়ে রশিদের ১২৬ উইকেট। ব্যাট হাতে ১৫ গড় ও ১২৯ স্ট্রাইকরেটে রশিদের সংগ্রহ মাত্র ৩৪৫ রান। আর সাকিবের ব্যাটিং গড় ২৩ ও স্ট্রাইকরেট প্রায় ১২২।

Suggested Post :  ইংল্যান্ডকে হারানোর পর গুরুত্বর বোমা ফাটালেন অধিনায়ক সাকিব!

রশিদের সম্পর্কে ডি ভিলিয়ার্স বলেন, “আমার কাছে টি-টোয়েন্টির সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার রশিদ খান। সে ব্যাট ও বল হাতে অবদান রাখে। দুই বিভাগেই সে ম্যাচজয়ী ক্রিকেটার। মাঠে সে খুবই জীবন্ত থাকে এবং তার হৃদয় সিংহের মতো, সবসময়ই জিততে চায়। সে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের একজন সেরা খেলোয়াড়। অনেকের মধ্যে সেরা একজন নয়, সে ই সেরা।”