শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম ইংল্যান্ডের মধ্যকার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছিল সফরকারী ইংল্যান্ড। যার ফলে দীর্ঘ প্রায় ৭ বছর ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজ হারলো বাংলাদেশ। তবে আজ সিরিজের শেষ ম্যাচ জিতে নিয়ে ২-১ সিরিজ শেষ করলো বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের এই জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছেন সাকিব। এদিন দলের প্রয়োজনে দুর্দান্ত এক ইনিংস উপহার দেন সাকিব। ৭১ বলে ৭ চারে দলীয় সর্বোচ্চ ৭৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন টাইগারদের টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট অধিনায়ক।

আর এই ম্যাচে একাধিক রেকর্ড করেছেন সাকিব। ব্যাট হাতে সাকিব দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৫ রানের ইনিংস খেলেছেন। ৭১ বলে সাত চারে ওই রান করেন তিনি। বল হাতে নিয়েছেন ম্যাচে সবার চেয়ে বেশি চার উইকেট। ১০ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে ইংলিশ ওপেনার জেসন রয় ও ফিল সল্ট এবং জেমস ভিন্সি ও রেহান আহমেদকে আউট করেছেন তিনি।

Suggested Post :  রিভিউ না নেওয়ায় মুস্তাফিজের মন খারাপ অধিনায়কের উপর

ওই চার উইকেট নিয়ে দেশের প্রথম বোলার এবং বিশ্বের ষষ্ঠ স্পিনার হিসেবে হিসেবে ওয়ানডে ক্রিকেটে ৩০০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েছেন দেশসেরা ক্রিকেটার। স্পিনারদের মধ্যে দ্রুততম হিসেবে বাংলাদেশের সুপারস্টার রয়েছেন দুই নম্বরে।

সোমবার চট্টগ্রামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ উইকেট নিয়ে সাকিব তিন’শ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন। ক্যারিয়ারের ২২৭তম ওয়ানডে খেলতে নেমে এ অর্জনের তালিকায় নাম লিখালেন সাকিব। শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি মুত্তিয়া মুরালিধরন ২০২ ম্যাচে পেয়েছিলেন তিন’শ উইকেট।

দুই’শ থেকে তিন’শ উইকেটে পৌঁছতে সাকিবের লাগল ৭১ ম্যাচ। এবার ইংল্যান্ডের অভিষিক্ত ক্রিকেটার রেহান আহমেদের উইকেট নিয়ে তিন’শ উইকেটের চূড়ায় পৌঁছেছেন। এদিকে রান ও উইকেট মিলিয়ে এলিট অলরাউন্ড ক্লাবে প্রবেশ করেছেন সাকিব।

Suggested Post :  আজ আইপিএলে মুম্বাই বিপক্ষে মাত্র ২ উইকেট নিলেই দারুণ একটি মাইলফলক স্পর্শ করবেন মুস্তাফিজ

ওয়ানডেতে সাকিবের রান ৬৯৭৬। আজ ৩০০ উইকেটের চূড়ায় উঠলেন। তার চেয়ে কেবল এগিয়ে সনাৎ জয়াসুরিয়া ও শহীদ আফ্রিদি। জয়াসুরিয়ার ৪৪৫ ম্যাচে রান ১৩৪৩০, উইকেট ৩২৩টি। আফ্রিদির ৩৯৮ ম্যাচে রান ৮০৬৪, উইকেট ৩৯৫টি।

এরপর সাকিবের স্থান। সাকিবের পর আছেন ওয়াসিম আকরাম (৩৭১৭ রান, ৫০২ উইকেট), শন পোলক (৩৫১৯ রান, ৩৯৩ উইকেট), ড্যানিয়েল ভেট্টরি (২২৫৩ রান, ৩০৫ উইকেট) ও চামিন্দা ভাস (২০২৫ রান ও ৪০০ উইকেট)।

এছাড়াও, এই অলরাউন্ডার এখন ওয়ানডেতে সর্বাধিক উইকেটসহ সর্বকালের সেরা বোলারদের তালিকায় ১৪তম স্থানে রয়েছেন। ২০০৬ সালে সাকিবের ওয়ানডেতে অভিষেক হয়েছিল এবং তখন থেকেই টাইগারদের দলে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন।

সাকিবের এই অর্জনে তাকে অভিনন্দন জানিয়েছে আইপিএলের দল কলকাতা নাইট রাইডার্স। আজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাকিবকে অভিনন্দন জানিয়ে কলকাতা জানিয়েছে,