ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আরও একটি হারে সিরিজ হাতছাড়া করল বাংলাদেশ। ফলে টাইগারদের পারফরম্যান্স নিয়ে হচ্ছে নানা সমালোচনা। ব্যাটারদের ব্যর্থতা নিয়েই আলোচনা হচ্ছে বেশি। বিশেষকরে মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিং। সংবাদ সম্মেলনে স্বাভাবিকভাবে উঠেও আসে সেই প্রসঙ্গ। আর প্রশ্ন শুনে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখালেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল।

শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে ১৩২ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে টাইগাররা। ইংলিশদের ৩২৭ রানের জবাবে ৩২ বল বাকি থাকতে ১৯৪ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। তাতে ঘরের মাঠে গত সাত বছর অপরাজিত থাকার পর সিরিজ হারল টাইগাররা।

এদিন লক্ষ্য তাড়ায় ইনিংসের শুরুতেই বড় বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই জোড়া ধাক্কা লাগে। এক ওভার পর হারায় আরও এক উইকেট। দলীয় স্কোর দুই অঙ্ক স্পর্শ না করতেই হারায় ৩টি উইকেট। এরপর সাকিব ও তামিম ইনিংস মেরামতের চেষ্টা চালান। তবে বেশ ধীরগতিতে। যখনই হাত খোলার চেষ্টা চালান তখনই আউট হয়ে ফিরেছেন তারা।

Suggested Post :  ক্রিকেট জীবন শেষ রহাণের

এরপর অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহর দিকে তাকিয়েছিল বাংলাদেশ। উইকেটে সেট হয়েছিলেন এই ব্যাটার। তখন বাংলাদেশ দলের ওভারপ্রতি রান প্রয়োজন ৯ এর উপরে। কিন্তু ৪৯ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন মাহমুদউল্লাহ। এছাড়া ফিল্ডিংয়ের সময়ও নিষ্প্রাণ দেখা গিয়েছে তাকে। দিয়েছেন বেশ কিছু বাড়তি রান।

মূলত এ প্রসঙ্গই উঠে আসে সংবাদ সম্মেলনে। প্রশ্ন শুনে অধিনায়ক বলেন, কখনো আমি বলিনি আমাদের ব্যাটাররা স্ট্রাগল করছে। আমি বলেছি ৩০ রানকে একশ করতে হবে। স্ট্রাগল যেটাকে বলছেন, আমি বারবার একই জিনিস বলতে পছন্দ করি না। এক সিরিজ আগেই উনি একটা ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেছেন। ৩-৪ ম্যাচে যদি একই প্রশ্ন করতে থাকেন, এটা ঠিক না।

Suggested Post :  শেষ ৪ ওভারে ৭ উইকেট তুলে নিয়ে কোহলিদের অবিশ্বাস্য জয়; ইতিহাস গড়ল ব্যাঙ্গালোর

তামিম বলেন, আপনার নিজের দেশেরই খেলোয়াড় কিন্তু। অবশ্যই সাথে এটাও বলব, উনার না, আমাদের সবারই অনেক ভালো করার জায়গা আছে। ফিল্ডিং হোক, ব্যাটিং হোক, কথার ইনপুট হোক। সবাই করতে পারি। আমি এই দলের অধিনায়ক, আমি কোনো দিন কাউকে একা দোষারোপ করতে পছন্দ করি না। দোষ হোক, আমার। আমি তাদের আগলে রাখতে চাই, কারও সমালোচনা চাই না।