গতকাল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে মাঠে নামে বাংলাদেশ। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে ম্যাচটি হারে বাংলাদেশ। তবে হারার চেয়ে বেশি আলোচনাতে ছিল সাকিবের পাঁচে ব্যাটিং করার বিষয়টা। যা নিয়ে চারের দিকে হচ্ছে আলোচনা। লম্বা সময় ধরে টাইগারদের দুর্ভাবনার কারণ ছিল ব্যাটিং অর্ডারের তিন নম্বর স্থানটা। ২০১৯ সালে সেই দুর্ভাবনা দূর করে দেন সাকিব আল হাসান। এরপর থেকে তাকে টপ অর্ডার ব্যাটার হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১ম ওয়ানডেতে সাকিব ব্যাট করেছেন ৫ নম্বরে।
তিনে এদিন সুযোগ দেওয়া হয় নাজমুল হোসেন শান্তকে, যিনি অর্ধশতক হাঁকিয়ে বাংলাদেশকে সম্মানজনক পুঁজি এনে দিয়েছিলেন। চার নম্বরেও সাকিব নামেননি, পাঠানো হয় মুশফিকুর রহিমকে। কেন সাকিব পাঁচে আর মুশফিক চারে খেললেন, ম্যাচ শেষে মিলল এর ব্যাখ্যা।
সংবাদ সম্মেলনে শান্ত জানান, ডানহাতি ও বাঁহাতি কম্বিনেশন মেলাতে গিয়েই মুশফিককে চারে ও সাকিবকে পাঁচে খেলানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বাঁহাতি-ডানহাতি কম্বিনেশনের কারণে সাকিব ভাই পাঁচে, মুশফিক ভাই চারে খেলেছে।’
যদিও মুশফিক বা সাকিব কেউই এদিন আলো ছড়াতে পারেননি। শান্ত ছাড়া দলের কোনো ব্যাটারই তেমন সফল ছিলেন না। তবে শান্ত মানছেন, তিনিই আরেকটু ভালো করতে পারলে জয়ের দেখা পেত বাংলাদেশ, ‘আমি হয়ত ধরে রাখতে পারিনি, তবে অতীতে আমাদের ব্যাটাররা এভাবে বড় ইনিংস খেলে ম্যাচ জিতিয়েছে। এমন না যে আমাদের ব্যাটাররা ইনিংস লম্বা করতে পারে না। অতীতে অনেক ভালো ইনিংস আছে যা ম্যাচ জেতাতে সহায়তা করেছে।’
স্পিন বান্ধব কন্ডিশনেও বাংলাদেশকে ভুগিয়েছেন ইংল্যান্ডের পেসাররা। শান্ত মনে করেন, উইকেট স্পিনারদের জন্য সহায়ক হলেও ভালো পেসাররা এই উইকেটে ভালো করতে পারবেন।
তিনি বলেন, ‘উইকেটে স্পিনারদের সহায়তা ছিল, তবে ওদের পেস বোলিং অ্যাটাক বিশ্বমানের। ওদের কম্বিনেশন খুব ভালো ছিল। আমাদের তাসকিন খুব ভালো বল করেছে। উইকেট না পেলেও আমাদের স্পিনারদের সাথে তাসকিন ভালো করেছে।’