গেল জানুয়ারিতেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণাটা এসেছিল। কোপা আমেরিকার পরবর্তী আসর বসবে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে। এছাড়া ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপেরও যৌথ আয়োজক তারা। পরপর দুটি মেগা ইভেন্টের আগে নিজেদের মাটিতে কয়েকটি প্রীতি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিপক্ষ হিসেবেও যেন-তেন কাউকে নয়, খোদ লাতিন দুই পরাশক্তি ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনাকে চায় দেশটি।

জানা গেছে, আসন্ন সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে যে কোনো সময়ে লাতিন পরাশক্তিদের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলার সবরকম প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তারা। যদিও আলোচনা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে বলেই আভাস মিলছে।

দুই আসর পর আবারও যুক্তরাষ্ট্রে ফিরছে দক্ষিণ আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের আসর কোপা। কনমেবলের ১০ দলের সঙ্গে অংশ নেবে কনকাকাফের ৬ দল। ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো ১৬ দলের অংশগ্রহণে আগামী ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত হবে কোপা আমেরিকা।

Suggested Post :  এশিয়া সফর করবে আর্জেন্টিনা, বাংলাদেশে আসবে তো?

এদিকে, মেগা ইভেন্টটির আগে নিজেদের প্রস্তুতিটা আরও ঝালিয়ে নিতে চায় আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র। আর তাই লাতিন পরাশক্তিদের বিপক্ষে খেলতে চায় দুটি প্রীতি ম্যাচ। এমন খবরই দিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য অ্যাথলেট।

কোপা আমেরিকার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। সবশেষ কাতার বিশ্বকাপেও সোনালি ট্রফির আক্ষেপ ঘুচিয়েছে লিওনেল মেসির দল। অন্যদিকে, লাতিন হেভিওয়েট দল ব্রাজিলের সবশেষ বিশ্বকাপটা ভুলে যাবার মতো হলেও আসন্ন কোপায় অন্যতম ফেবারিট তারা।

এদিকে, ফুটবলে নবজাগরণ চলছে যুক্তরাষ্ট্রেও। মরুর দেশের বিশ্বকাপে শেষ ষোলোতে খেলেছে তারা। এবার আবারও বড় পরিকল্পনা নিয়ে নামছে দেশটি। আর তাই শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর।

Suggested Post :  ব্রাজিল মরক্কোর কাছে হেরে হাস্যকর মন্তব্য করলেন ক্যাসিমেরো

টানা দ্বিতীয় কোপা আমেরিকা ফাইনাল হারের পর, লিওনেল মেসির কান্নার দৃশ্য হয়তো আজও ভোলেনি আলবিসেলেস্তে সমর্থকরা। আবেগী মেসি সেই ম্যাচের পর অবসরেরও ঘোষণা দেন। এ সবই ঘটেছিল যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে। ৮ বছর পর আবারও সেই দেশেই ফিরছে কোপা আমেরিকা। তবে এবার মেসি সেখানে যাবেন রাজার বেশে। কোপার সঙ্গে বিশ্বকাপের ট্রফি সঙ্গে নিয়ে।

তবে প্রীতি ম্যাচের খবর এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ দুটি না হলেও আগামী বছরে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে কোপা খেলতে নামবে লাতিন দলগুলো।