ইমরুল কাইস, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ইতিহাসের অন্যতম সেরা অধিনায়ক, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে ধারাবাহিক সাফল্যের পরেও তাকে সেভাবে মূল্যায়ন করা হয় না। আড়ালেই থাকে যান এই ওপেনার। বিপিএলে অধিনায়ক হিসেবে তৃতীয় শিরোপা জিতে এবার নিজেই জানালেন সাফল্যের রেসিপি।

বিপিএলে একটি নির্দিষ্ট দলের অধিনায়কত্ব করে সবচেয়ে বেশি (৩ বার) শিরোপা জয়ের রেকর্ড এখন ইমরুলের। বিশেষ দলের খেলোয়াড়ের দ্বারা সর্বাধিক শিরোপা জয়ের রেকর্ডও (4 বার) তার।

২০১৫ সালের বিপিএলে দলটির হয়ে প্রথমবার শিরোপা জিতেন ইমরুল। সেবার ছিলেন শুধুই খেলোয়াড়। দলটির অধিনায়ক তখন ছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। বিপিএলে এরপর আরও সাফল্য ধরা দেয় ইমরুলের সামনে। তবুও উপেক্ষিত হয়েছেন তিনি।

দলটির হয়ে অধিনায়ক হিসেবে তৃতীয় শিরোপা জয়ের পর ইমরুল বলেন, ‘আমি যখন প্রথম অধিনায়কত্ব করি কুমিল্লাতে, স্টিভেন স্মিথ অধিনায়ক ছিল, সে চলে গেল। তার পর আমাকে নিয়ে অনেক কথা হয়েছে যে আমি ‘অ্যাক্টিং ক্যাপ্টেন’…। তবে সবকিছু তো আসলে বাইরে থেকে প্রকাশ করা যায় না। মাঠেই করে দেখাতে হয়।’

Suggested Post :  বিপিএল প্লে অফে কে কার মুখমুখি এক নজরে দেখেনিন

‘আমি স্যারের (কুমিল্লা কোচ সালাউদ্দিন) সঙ্গে যেভাবে আলোচনা করি, আমাদের খেলাটা নিয়ে, কুমিল্লার ভালোর জন্য… এবং সত্যি বলকে, ঘরোয়া ক্রিকেটে যখনই খেলি না কেন, অনেক পরিকল্পনা করে, চিন্তা-ভাবনা করে ক্রিকেট খেলি। এটার জন্য হয়তো সফল হই।’

এবারের আসরে শুরুটা মলিন ছিল না কুমিল্লা ও ইমরুলের। টানা তিনটি ম্যাচ হেরে আসর শুরু করেছিল আসরের অন্যতম ফেভারিট এই দলটি। যদিও শেষপর্যন্ত বেশ দাপটের সঙ্গেই প্লে অফে জায়গা দখল করে তারা।

কুমিল্লার এমন সাফল্য রাতারাতি আসেনি বলেও নিশ্চিত করেছেন ইমরুল। বিপিএল শুরুর অনেক আগে থেকেই দল গোছানো নিয়ে পরিকল্পনা থাকে বলে জানিয়েছেন অন্যতম সেরা এই অধিনায়ক।

Suggested Post :  হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষ হলো চট্টগ্রাম ও খুলনার ম্যাচ

ইমরুল আরও বলেন, ‘আমি সবসময় বলি, কুমিল্লায় খেললে অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করে আমার ভেতর। কুমিল্লা একটি ব্র্যান্ড। অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজি আসে, ভালো করে বা খারাপ করে, এরপর তারা ছেড়ে দেয়। আশা ছেড়ে দেয়। কিন্তু এরা (কুমিল্লা) এক বছর ধরে যেভাবে পরিকল্পনা করে যে পরবর্তী ভিশন কী হবে, স্যার (কোচ) যেটা বললেন, আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য দল গড়ি এবং আমাদের লক্ষ্য এরকম থাকে যে আমরা রানার্স আপ হওয়ার জন্য দল গড়ি না।’

‘আমরা তিনটি ম্যাচ হারার পরও কিন্তু অনেকে অনেক কিছু বলেছে যে কোয়ালিফাই করতে পারব বা এরকম কিছু। কিন্তু আমাদের ভেতর বিশ্বাসটা ছিল এবং আমরা দলের ভেতর যেভাবে কাজ করে থাকি, এটা অসাধারণ।’