বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে মাশরাফি বিন মর্তোজার সিলেট স্ট্রাইকার্স রংপুর রাইডার্সকে ১৯ রানে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। তবে ম্যাচ শেষে মুশফিকুর রহিমের ফিল্ডিং বিতর্কের জন্ম দেয়। সিলেটের দেওয়া ১৩৩ রানের টার্গেটের মুখোমুখি হয়ে রংপুর রাইডার্স ১৭ ওভার শেষ পর্যন্ত ম্যাচে ছিলো তারা।

কিন্তু ওই ওভার শেষে হঠাৎ করেই মাঠে নামেন মুশফিকুর রহিম। মুশফিকুর রহিমকে ফিল্ডিং করতে দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করে উভয় পক্ষ। যেখানে শেষ পর্যন্ত মুশফিকুর রহিম মাঠে এলেও তার বিকল্প উইকেটরক্ষক আকবর আলী মাঠ ছাড়েন।

তবে কিপিং করেননি মুশফিক তার জায়গায় বাকি দুই ওভার কিপিং করেন জাকির আলী। ম্যাচ শেষে মুশফিকের ওভাবে মাঠে নামায় যে সময় নষ্ট হয়েছে- সেটাকেই হারের অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন রংপুর কোচ সোহেল ইসলাম। তানজিম সাকিবের করা ১৮তম ওভারে আউট হয়ে যান রংপুর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। ওই আউটই মোমেন্টাম হারিয়ে জয়ের রাস্তা থেকে সরে যায় রংপুর।

Suggested Post :  ADRS নিয়ে মুখ খোলায় দেশসেরা কোচ সালাউদ্দিনকে কঠিন শাস্তি দিলো বিসিবি

সংবাদ সম্মেলনে রংপুর কোচ বলেন, “ওই সময় খেলার মোমেন্টাম আমাদের দিকে ছিল, খেলার একটা ফ্লো ছিল। ওই সময় যে জাকির বের হলো এবং উইকেটরক্ষক পরিবর্তন; ওখানে মোমেন্টাম ব্রেক ডাউন হলো”।

“এটা কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে খুবই একটা…আমি বলব এটা একটা দলের জন্য যখন ফ্লো থাকে, ব্রেকডাউন হলে এরকম হতে পারে। আসলে সেটাই হয়েছে।…জ্বর আসছে…সে নামছে। এবং এমন একটা সময় নামছে, আমাদের আসলে মোমেন্টামটা ওই সময় নষ্ট হয়ে গেছে।”

সিলেট স্ট্রাইকার্স ইচ্ছে করে কৌশল হিসেবে এই পরিবর্তন করেছে কি না জানতে চাইলে সোহেল বলেন, “আমি আসলে জানি না এটা কৌশল ছিল বা কিছু…। যেটা হয়েছে, মুশফিক প্রথম থেকে ব্যাটিং করেছে, আমি জিজ্ঞেস করেছি যারা থার্ড আম্পায়ার (আসলে চতুর্থ), তারা বলেছে যে জ্বর আসছে, সে জন্য আসলে বাইরে।”

“আমার কথা হচ্ছে যে, জ্বর যখন আসবে; তখন কি অন্য দল এর দায়িত্ব নেবে? নিশ্চয়ই না। মাঠের ভেতর যদি ইনজুরি হয়, তাহলে যেটা নিয়ম আছে, সেটা হবে। কিন্তু যদি জ্বর আসে সেক্ষেত্রে…ওই ব্যাপারটা নিয়েই কথা হচ্ছিল।”

Suggested Post :  বিপিএলে যোগ দিতে আমি মুখিয়ে আছি। আশা করছি দারুণ এক টুর্নামেন্ট হবে: ফাফ ডু প্লেসিস

তিনি আরও বলেন, “মুশফিক যখন নামে, ওই সময় বেশ কিছু সময় কিন্তু চলে গেছে। এটা এক-দুই মিনিটের ব্যাপার না, অলমোস্ট প্রায় পাঁচ-ছয় মিনিটের ব্যাপার। ওই সময় আমরা বেশ ভালো অবস্থানে ছিলাম, একটা ফ্লো ছিল। ওই ফ্লো নষ্ট হয়ে যাওয়া আমাদের জন্য ক্ষতিকর ছিল।”

“আমাকে থার্ড আম্পায়ার যেটা বলেছে (আসলে চতুর্থ), মুশফিকের জ্বর আসছে। সেজন্য মুশফিক কিপিং করতে পারছে না। কিন্তু আমাদের অধিনায়ক এ বিষয়ে জানতে না। এটা নাকি বাইরের ম্যাচ রেফারির সঙ্গে কথা বলে তারা ঠিক করেছে। আমাদের এ বিষয়ে কিছু জানায়নি।”

মাঠে নামার সময় জ্বর কি কমে গিয়েছিল? এমন প্রশ্নে সোহেল ইসলাম বলেন, ‘আমি কীভাবে বলব? সেটা ওখানে যারা আম্পায়ার ছিল, তারা বলতে পারবে”।