অবশেষে শিরোপার সম্ভবনাময় ফরচুন বরিশালের এলিমিনেটর ম্যাচে বিদায়।‘এবারের বিপিএলেনতুন এক সাকিব’ চলতি বিপিএলে সাকিব আল হাসানের ব্যাট হাতে আগুনে ফর্মের কারণে এভাবেই ব্যাখ্যা করা হচ্ছিল এই ক্রিকেটারকে। গত বিপিএল থেকে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে টি-টোয়েন্টি খেলা সাকিব এবারের বিপিএলে এসে সফল হয়েছেন।
টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৭৫ রান করেছিলেন এই ক্রিকেটার। স্ট্রাইক রেটও ছিল অন্যসব ব্যাটসম্যানের চেয়েও অনেক বেশি, ১৭৪.৪১। তবুও কিনা দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যাটিংয়ে নামলেন না সাকিব। যার খেসারত দিয়ে ফরচুন বরিশালও টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছে এলিমিনেটর ম্যাচ শেষে।
মিরপুর শের ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রংপুরের বিপক্ষে এলিমিনেটর ম্যাচে ৪ উইকেটের হার দেখেছে বরিশাল। এদিন টসে হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে সাকিবের দল বরিশাল তোলে ১৭০ রান। তাও মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে।
দলটি ১২ ওভারে এদিন ১০০ ছুঁয়ে ফেলেছিল। ১৩ ওভার শেষে স্কোর ছিল ১১৪। সেখান থেকে শেষ ৭ ওভারে হাতে ৯ উইকেট থাকা সত্ত্বেও মাত্র ৫৬ রান তুলতে পারে সিলেট। সাকিব টপ অর্ডারে নিজে না নেমে নামিয়ে দেন দুই বিদেশি করিম জানাত এবং ভানুকা রাজাপাকসেকে।
এবারের বিপিএলে জানাত ভালো খেললেও সাকিব থেকে বেশি ভালো নয়। রান থেকে শুরু করে স্ট্রাইক রেট কিংবা চার-ছয় যেকোনো হিসেবে সাকিব থেকে পিছিয়ে জানাত। তবুও সাকিব এই বিদেশির উপর ভরসা রেখেছিলেন। এদিকে বিপিএলে আসার আগে চরম পর্যায়ের অফফর্মে ছিলেন রাজাপাকসে।
শেষ ১০ ম্যাচ বিবেচনায় নিলে মোটে রান করেছেন ৬৩। যেখানে কেবল এক ম্যাচে অপরাজিত সেটিও আজ রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে। ১৭ রানের ইনিংস। এর মাঝে তিনটি শূন্য। এতকিছুর পরেও সাকিব নিজে না নেমে তাদের নামিয়ে ভুল করায় বরিশালও ন্যূনতম ১৫-২০ রান কম করেছে।
ম্যাচশেষে সাকিবের না নামা নিয়ে ফরচুন বরিশালের কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিম জানিয়েছিলেন, সাকিবের সিদ্ধান্তেই মাঠে নামেননি তিনি। বরিশালের কোচও আশা করেছিলেন সাকিব নামা উচিত ছিল সেই দুই বিদেশি ক্রিকেটারের আগে। সাকিবের জন্য সিচুয়েশন ছিল সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত।
ফাহিম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘করিম বা রাজাপাকসে আমাদের যে চাওয়া ছিল সেটি ফুলফিল করতে পারেনি। সে কারণেই কিন্তু আমরা পিছিয়ে গেছি। আমাদের সুযোগ ছিল ১৯০ স্কোর বা সেটিকেও ছাড়িয়ে যাওয়ার। আমাদের ড্রেসিংরুমে সেই ব্যাটিং শক্তিটাও ছিল, সেটা আমরা ব্যবহার করতে পারিনি।
এটা ক্যাপ্টেনেরই কল থাকে সাধারণত। এমন নয় যে, আমাদের সঙ্গে আলাপ করে নিতে হয়। সে হয়ত ভেবেছে, ওরা ভালো খেলোয়াড়; ওরা যদি আগে যায়। আমাদের দুই-এক ওভারে যদি রান বাড়িয়ে দিতে পারে, উইকেট হারালেও। শেষে গিয়ে সে (সাকিব) তার কাজটা করবে। তবে আমার মনে হয় না পরিকল্পনাটা কাজে লেগেছে। কিন্তু আমাদের সেই সুযোগ তারা কাজে লাগাতে পারেনি।
সাকিব যে ব্যাটিং করছে এই উইকেটে, এই সিচুয়েশনে। আমার ধারণা সাকিবের চেয়ে ভালো কোনো অপশন হতে পারতো না। খুব ভালো হতো ও যদি নিজে খেলতো, নিজের মতো করে খেলতো।’