
বাংলাদেশে পৌঁছার অপেক্ষায় না থেকে অস্ট্রেলিয়ায় বসেই জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ শুরু করেছেন টাইগারদের প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ পাওয়া চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।
আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি দেশে আসার কথা রয়েছে হাথুরুসিংহের। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি করবেন তিনি।
১ মার্চ থেকে শুরু হওয়া ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করবেন হাথুরুসিংহে।
টাইগারদের দায়িত্ব নেওয়া নিশ্চিত হবার পর দেশের খেলোয়াড়দের সম্পর্কে ধারণা পেতে চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ওপর নজর রেখেছেন হাথুরুসিংহে।
বাংলাদেশের পেসার তাসকিন আহমেদ জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলা এবং নিজের পরিকল্পনা সর্ম্পকে ধারণা দিয়েছেন ৫৪ বছর বয়সী এই কোচ।
আজ রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তাসকিন বলেন, ইতোমধ্যে সবার সঙ্গে কথা বলেছেন হাথুরু। তার পরিকল্পনা ভাগাভাগি করেছেন এবং ভবিবষ্যতে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পূরণে বোলার এবং ব্যাটারদের ভূমিকা কী হবে- সেই ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা দিয়েছেন।
আগামী মাসে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজ আইসিসি সুপার লিগের অংশ। আসন্ন দুই ফরম্যাটের সিরিজে দুজন অধিনায়ক বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন।
তাসকিন জানান, দুই ফরম্যাটের অধিনায়কের সঙ্গেই কথা বলেছেন হাথুরুসিংহে।
হাথুরুর বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনে ক্রিকেট মহল বিভক্ত হলেও উচ্ছ্বসিত তাসকিন। তিনি বলেন, হাথুরুসিংহে ফিরে আসায় আমি রোমাঞ্চিত। তিনি একজন মানসম্পন্ন কোচ এবং সৎ ব্যক্তি। এটি অবশ্যই তার জন্য আরও ভালো হবে। হাথুরুসিংহের প্রথম স্পেলের সময় আমরা যারা খুব ছোট ছিলাম এখন তারা আগের চেয়ে অনেক বেশি পরিণত খেলোয়াড়। দলের অবস্থানও এখন ভালো।
২০১৪ সালে ভারতের বিপক্ষে তাসকিনের অভিষেক ম্যাচের সময় দলের সঙ্গে ছিলেন হাথুরুসিংহে।
হাথুরুসিংহের প্রথম স্পেলে তিনটি ফরম্যাটেই উন্নতি করেছিল বাংলাদেশ। বিশেষভাবে ওয়ানডে ক্রিকেটে শক্তিশালী দলে পরণত হয়েছে বাংলাদেশ।
তবে কোচ রাসেল ডমিঙ্গো থাকাকালীন উন্নতি হয়েছে পেসারদের। এর মধ্যে ম্যাচজয়ী বোলার হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন তাসকিন, মোস্তাফিজুর রহমান, এবাদত হোসেন, খালেদ আহমেদ, শরিফুল ইসলামরা।
পেসারদের উন্নতিতে বাংলাদেশের ক্রিকেট এগিয়েছে বলে মনে করেন তাসকিন। তিনি বলেন, অবশ্যই আজকের পেসাররা সেই সময়ের পেসারদের চেয়ে বেশি ধারাবাহিক। এটিও ইতিবাচক দিক। আমি আশা করি বাংলাদেশের ম্যাচ জয়ে ভূমিকা অব্যাহত রাখবে পেসাররা।