বাংলাদেশের ক্রিকেটে তার অবদান অনেক। সেই ২০০৫ সাল থেকেই দেশের সবচেয়ে নির্ভর যোগ্য ব্যাটার হিসেবে সবাই তাকে এক নামেই চিনে। দের যুগেরও বেশি সময় ধরে তিনিই দেশের সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটার। গ্লাবস হতে দাড়িয়েছেন উইকেটের পেছনে। ছিলেন দলের অধিনায়ক। হ্যা ঠিকই ধরেছেন তিনি আমাদের সবার প্রিয় মুশফিকুর রহিম।ভক্তদের প্রিয় “মুশি”।

গত দের যুগে ধরেই তিনি বাংলাদেশ দলের অনেক সরনিয় জয়েয় সাক্ষী।এই সময়ে তিনি রান করে গেছেন নিয়মিত। হয়তো খারাপ সময় এসেছে কিন্তু তিনি তার শ্রম আর মেধা দিয়ে ঠিকই ফিরে এসেছেন। রান করেছেন দলের অন্য সবার সাথে পাল্লা দিয়ে। দেশের হয়ে টেষ্টে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির মালিক তিনি। এই ফরম্যাটে দেশের হয় প্রথম ৫০০০ রান করেন মুশফিক।এছাড়া একমাত্র উইকেট কিপার ব্যাটার হিসেবে ৩ টি ডাবল সেঞ্চুরির মালিকও তিনি।

এতখন বলছিলাম সেরা সময়ের তরুন এবং পরিনত মুশফিকুর রহিমের কথা। কিন্তুু মানুষের জিবনে বয়স একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সব বয়সে সব কাজ করা যায় না। খেলোয়াড়দের জিবনে এটা হয়তো আরও বেশি সত্যি। ৩৫ বছরের পর থেকেই তাদের ফিটনেসের একটা ঘাটতি দেখা যায়। তাই অনেক বড় খেলোয়ার কেই ৩৫ এর আগে পরে বিদায় বলতে দেখা গেছে।

Suggested Post :  জাতীয় দলে ফেরার ঘোষণা দিয়েই সেঞ্চুরি করলেন নাসির হোসেন

তবে ফিটনেস থাকেলে ৪০ এর সতেজ থাকতে দেখা গেছে অনেককেই। শচীন টেন্ডুলকার, মেসবাউল হকরা তো চল্লিশ এর পরের তাদের বুড়ো হারের ভেলকি দেখিয়েছেন।শোয়েব মালিক এখনো খেলে বেড়াচ্ছেন বিশ্ব জুরে।কিন্তু এরা সবাই পারফর্ম করেই এতো বয়সে খেলেছেন।

এখানেই মুশফিকুর রহিম কে নিয়ে ভয়। বয়স টা ৩৭ হয়ে গেছে। বছর খানেক ধরেই ব্যাটে রান নেই। বাধ্য হয়েই অবসর নিয়েছেন টি টুয়েন্টি থেকে।যদিও এটা নিয়ে তখন যথেষ্ট বিতর্ক হয়েছিলো।তবে তার বর্তমান পারফরম্যান্স দেখে অবসরে যাওয়া টা যথেষ্ট যুক্তি যুক্তই মনে হচ্ছে।

টেস্টে গত বছর সেঞ্চুরি করার পর থেকেই ভুগছেন রান ক্ষরায়। ওয়ানডেতে শেষবার ফিফটির দেখা পেয়েছিলেন ১৩ ইনিংস আগে।টি-টুয়ান্টি তে খারাপ ফর্মের কারনে দল থেকে বাদ পরে অবসরই নিয়ে নিলেন।

Suggested Post :  অবাক ক্রিকেটবিশ্ব, অবশেষে বিসিবির ডাকে দলে যোগ দিলেন সাব্বির রহমান

বিপিএলে বরাবরই ভালো খেলেন মুশফিক। কিন্তু এবার বিপিএলে ১০ ম্যাচে করতে পেরেছেন ১৫৬ রান।স্ট্রাইক রেট ১২০ এর নিচে। শুন্য রানে আউট হয়েছেন দুইবার। ১০ এর নিচে রান আছে ৪ টি ব্যাটিংয়েও আত্তবিশ্বাসের অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আউট হওয়ার ধরন গুলো চোখে লাগার মতো।দল হিসেবে সিলেট ভালো করার কারনে মুশফিকের পারফরম্যান্স নিয়ে তাই এতোটা আলোচনা হয় নি।

একজন ব্যাটসম্যানের খারাপ সময় আসবে।হয়তো অনেকে সেটা কাটিয়েও উঠতে পারে। তবে ৩৭ বছর বয়স টা ফিরে আসার জন্য যথেষ্ট কঠিন। সামনে বিপিএলের আরও কিছু ম্যাচ বাকি আছে। মুশফিক ওই ম্যাচগুলোতে ভালো করে হয়তো ফর্মে ফিরতে পারবেন। দেখার বিষয় চাপ সামনে মুশফিক আসলেই ফর্মে ফিরে আসতে পারেন কি না।