তৌহিদ হৃদয়কে জাতীয় দলের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত বলে মনে করেন টাইগারদের সাবেক অধিনায়ক ও সিলেট স্ট্রাইকার্সের হেড কোচ রাজিন সালেহ। তার মতে, পিএসএলের কারণে অনেক ক্রিকেটারের চলে যাওয়া, দেশি ক্রিকেটারদের জন্য বড় সুযোগ। সঙ্গে ভরসা রাখছেন দুই নয়া রিক্রুট ইরফান-গুলবাদিন নাইবে।
সুখের সংসারে সর্বনাশা আগুন। বেরসিক ইনজুরির হানা তো আছেই; সঙ্গে যোগ হয়েছে পিসিবির রক্তচক্ষু। তাইতো বিপিএলের মাঝ পথেই দেশে ফিরতে হলো পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের। তবে সবাইকে নয় পিসিএলে যারা দল পেয়েছেন। কিন্তু টেবিল টপার সিলেটের যে দুজন ফিরে গেছেন সেই আমির-ইমাদ লাক্কাতুরার দলটির অন্যতম সেরা পারফর্মার।
ঢাকা পর্বের আগে স্ট্রাইকার্স ভরসা খুঁজবে দুই নয়া রিক্রুট ইরফান-গুলবাদিন নাইবে । দুজনেই খেলবেন আসরের বাকি ম্যাচগুলোতে।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বৃহস্পতিবার (০২ ফেব্রুয়ারি) রাজিন সালেহ বলেন, ‘ইরফান এর আগে বাংলাদেশে খেলেছে। বিপিএলে তার অনেক অভিজ্ঞতা আছে। রাজশাহী রয়্যালসের হয়ে সে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল এবং ভালো খেলা উপহার দিয়েছিল। আমরা আশাবাদী সে তাড়াতাড়ি বাংলাদেশের উইকেটের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারবে এবং ভালো খেলবে।’
তবে সিলেটের সাইটবেঞ্চও যথেষ্ট শক্তিশালী। বিশেষ করে লোকাল ক্রিকেটাররা। বাকি ম্যাচগুলোতে দেশিদের জন্য এটাকে বড় সুযোগ মানছেন সিলেট কোচ।
তিনি বলেন, ‘আমরা খুব একটা চিন্তিত না। কারণ আমাদের স্থানীয় যে সব ক্রিকেটার আছে, তারা অনেক অভিজ্ঞ। নাবিল সামাদ, নাজমুল হোসেন অপুরা বিগত দিনে অনেক ভালো করেছে। আশা করি, তারা বিদেশি ক্রিকেটারদের খালি জায়গাটা পূরণ করতে পারবে।’
স্বস্তি আছে আরও। সেটা ব্যাটার তৈহিদ হৃদয়ের রানে ফেরায়। এমন কি পরিণত হৃদয়কে জাতীয় দলের জন্যও প্রস্তুত বলে মানছেন রাজিন।
হৃদয়কে নিয়ে আত্মবিশ্বাসী রাজিন বলেন, ‘এ টুর্নামেন্টে সে চারটি ফিফটি করেছে। তৌহিদ হৃদয় যেহেতু ভালো ফর্মে আছে, তাকে বাংলাদেশ দলে নেয়ার বিষয়ে চিন্তা করা উচিত। সে আত্মবিশ্বাসী। আমিও আত্মবিশ্বাসী যে সে বাংলাদেশ দলে ভালো খেলবে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সব ধরনের ক্রিকেট খেলতে পারবে।’
সেইসঙ্গে প্লে অফ আগেই নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় পরবর্তী ম্যাচে অধিনায়ক মাশরাফীকে নিয়েও ঝুঁকি না নেয়ার ইঙ্গিত রাজিন সালেহের।