চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে একশ ম্যাচ খেলার নজির গড়লেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। ফ্র্যাঞ্জাইজি এই টুর্নামেন্টের শততম ম্যাচটি জয় দিয়ে রাঙিয়েছেন সিলেট স্ট্রাইকার্স অধিনায়ক। বিপিএলে ছয়টি ভিন্ন দলের হয়ে খেলা এই ক্রিকেটার শিরোপা জিতেছেন চারবার। মাশরাফীর দিনেই শততম ম্যাচের মাইলফলক স্পর্শ করেন ইমরুল কায়েসও।

বিপিএলে প্রথমবার যখন খেলতে নামেন মাশরাফীর বয়সটা তখন ২৭। ক্যারিয়ারের মধ্যগগনে থাকা মাশরাফীর দুহাত ভরে সাফল্য ধরা দিয়েছে দেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগে। মেঘে মেঘে বেলা গড়িয়েছে অনেক। ৪০ এ পা দিবেন কদিন পরেই তবুও বিপিএল মাতিয়ে যাচ্ছেন। শুরুর মতোই ক্ষুরধার পারফরম্যান্সে ও নেতৃত্বে। দেখতে দেখতে পূরণ করে ফেললেন ম্যাচ খেলার সেঞ্চুরি। ছয় দলের হয়ে ১০০ ম্যাচ। ৯৭ উইকেট নেওয়া নড়াইল এক্সপ্রেস শিরোপা জিতেছেন ৪টি।

Suggested Post :  বরিশালের জন্য দুঃসংবাদ, ফাইনালে সাকিবের খেলা নিয়ে শঙ্কা

সময়ের পরিক্রমায় চোট জর্জরিত পা আর বার্ধক্যের ধকল দুটোকেই পেছনে ফেলছেন। বিপিএলে তার বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের সেঞ্চুরিটাও তাই পূরণ করলেন নামের মতো করে। শততম ম্যাচের প্রথম বলেই উইকেট শিকার করে উদযাপন করলেন মাশরাফী।

বিপিএলের প্রথম দুই আসরের দুটিতেই চ্যাম্পিয়ন মাশরাফীর ঢাকা। গ্ল্যাডিয়েটর্সের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করে পাড়ি জমান কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সে। সেখানেও জেতেন শিরোপা। ফ্র্যাঞ্জাইজি এই টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন করেন রংপুর রাইডার্সকেও। মাশরাফী যেন রাজা মাইডাস। হাত দিয়ে যাই ধরেন সোনা হয়ে যায়!

Suggested Post :  চমক দিয়ে অধিনায়কের নাম ঘোষণা করল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স

অর্জনের হিসেবে বিপিএল ইতিহাসের সফলতম অধিনায়কের তকমা। সংখ্যার হিসেবেও সর্বোচ্চ। একশ ম্যাচের ৯৫টিতেই করেছেন অধিনায়কত্ব। ৬১ শতাংশ জয়ের রেকর্ডে তার আশেপাশে নেই আর কেউ।

১০০ ম্যাচে ৯৭ উইকেট। ওভারপ্রতি রান খরচ সাতের কাছাকাছি। বিপিএল ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী, এবারের আসরের প্রথম ৯ ম্যাচেই, উইকেট নিয়েছেন ১২টি।

মাশরাফীর দিনেই ১০০ ম্যাচের এলিট ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন ইমরুল কায়েস-ও। ২ হাজার ১২৯ রান নিয়ে, বিপিএলের চতুর্থ সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী তিনি। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স অধিনায়কও নিজের এমন মাইলফলক স্পর্শের দিনটা রাঙিয়েছেন জয় দিয়ে।