জেল খেটেছেন যে ফুটবলাররা; একনজরে দেখেনিন

ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব হয়েও বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে জেলে খাটার রেকর্ড নেহায়েত কম নয় ফুটবলারদের। যার সবশেষ উদাহরণ ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি দানি আলভেজ। এ ছাড়াও দেশটির আরেক কিংবদন্তি রোনালদিনহোকেও যেতে হয়েছে এই তিক্ত পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে।

রেনে হিগুয়েতা, স্করপিয়ন কিকের জন্য যিনি বিশ্বসেরা। সাবেক এই কলম্বিয়ান গোলরক্ষকে জেল খাটতে হয়েছিল কিডন্যাপিংয়ের দায়ে! অবশ্য আট দিন কারাবাসের পর ছেড়ে দেয়া হয়েছিল তাকে। ছাড়া পেয়ে বিষয়টি নিয়ে বেশ রসিকতা করেছিলেন হিগুয়েতা।

সাবেক ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার এডমুন্ডোকে জেলে যেতে হয়েছিল সড়ক দুর্ঘটনার জন্য। রিও ডি জেনেইরোতে এই ঘটনা তিনি ঘটিয়েছিলেন ১৯৯৫ সালে। তবে তাকে গ্রেফতার কার হয় চার বছর পর। এ জন্য তাকে সাড়ে চার বছরের সাজাও দিয়েছিলে দেশটির ক্রিমিনাল কোর্ট। কিন্তু তিনি ছাড়া পান মাত্র এক দিন বাদেই।

কলম্বিয়ান ফুটবলার ফ্রেডি রিঙ্কনকে জেলে যেতে হয়েছিল মাদক কারবারির অভিযোগে। সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে ছিল স্পষ্ট প্রমাণাদি। তাই জেলে তাকে গুনতে হয়েছে ১২৩ দিন। এরপর অবশ্য জামিনে বের হয়ে আসেন তিনি।

অনেকটা দানি আলভেসের মতো কাণ্ড ঘটিয়ে জেল খেটেছেন ম্যানচেস্টার সিটি ফুটবলার বেনজামিন মেন্ডি। এক তরুণীর দায়ের করা ধর্ষণের অভিযোগে ২০২১ সালে কারাবরণ করতে হয় তাকে। তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় গত বছর জানুয়ারিতে মুক্তি পান তিনি।

সাবেক ইংলিশ ফুটবলার অ্যাডাম জনসনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগটা বেশ গুরুতর। তার নামই হয়ে গিয়েছিল পেডো জনসন! শিশু ধর্ষণের মত ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছিলেন তিনি। এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে ছয় বছরের সাজা দেয় ইংল্যান্ড আদালত। তবে তিন বছর পরই বেরিয়ে আসেন তিনি। বান্ধবীকে নির্যাতন ও ধর্ষণচেষ্টায় জেল খেটেছেন ম্যাসন গ্রিনউড।

ব্রাজিল কিংবদন্তি রোনালদিনহোর কারাবাসের কারণ অবশ্য গুরুতর কিছু নয়। পাসপোর্ট সংক্রান্ত জটিলতায় প্যারাগুয়েতে আটক হন তিনি। সেখানকার জেলে তাকে কাটাতে হয়েছে ১৭১ দিন। তবে বন্ধু লিওনেল মেসি এগিয়ে আসলে সমাধান হয় সমস্যার। মুক্ত হয়ে দেশে ফেরেন দিনহো।