সোমবার (২৩ জানুয়ারি) ১৬৫ রান তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে তাদের ইনিংস থামে ১০৪ রানে। এনিয়ে টানা ষষ্ঠ হারে কোয়ালিফাই রাউন্ডের টিকিট অনেকটা ফিকে হয়ে গেছে দলটির।

মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে এদিন নাসিমের গতি আর সুইংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি ঢাকার ব্যাটাররা। ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে এ পেসার একাই নিয়েছেন ৪ উইকেট।

নাসিমের প্রথম শিকার ওপেনার মিজানুর রহমান। পাক বোলারের বলে বোল্ড হওয়ার আগে এ ব্যাটারের ব্যাট থেকে ৮ বলে আসে ৫ রান। পরের ওভারে আবু হায়দার রনি এসে সৌম্য সরকারকে ফেরান খুশদিলের ক্যাচে পরিণত করে। তিনি ৭ বল মোকাবিলায় মাত্র ৩ রান করেন। ক্রিজের একপ্রান্ত আগলে ধরার চেষ্টা করেন উসমান গণি। কিন্তু তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি মোহাম্মদ মিথুন, নাসির হোসেন, আরিফুল হক ও মুক্তার আলিরা। নাসিমের সুইংয়ে কাবু হয়ে মিথুন ক্যাচ তুলে দেন কুমিল্লার উইকেটরক্ষককে। ১১ বলে ৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

নাসির ১৫ বলে ১৭ রান করে শিকার হন খুশদিল শাহর। এ পাক স্পিনার লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফেরান আরিফুল হককে। তার ব্যাট থেকে ১৫ বলে আসে ১১ রান। এরপর নাসিম ডেথ ওভারে এসে একে একে তুলে নেন মুক্তার আলি (৯) ও আমির হামজার (০) উইকেট। ইনিংসের ১৬তম ওভারে তিনি হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগালে তাসকিন আহমেদ তাকে সে সুযোগ দেননি। তবে টাইগার পেসার ক্রিজে স্থায়ীও হতে পারেননি। পরের ওভারে বিদায় নিয়েছেন মুকিদুল ইসলামের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে।

Suggested Post :  কুমিল্লার সাথে লজ্জাজনক ভাবে ম্যাচ হেরে যে কারণকে দুষলেন সিলেটের অধিনায়ক মোসাদ্দেক

শেষ ওভারের চতুর্থ বলে ৩৪ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলে আউট হন গণি। তাতে ১০৪ রানে থামে ঢাকার ইনিংস। ফলে ৬০ রানের জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিনে উঠে আসে কুমিল্লা। ৭ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৮। অন্যদিকে তলানিতে থাকা ঢাকা ৭ ম্যাচে মাত্র একবার জয়ের মুখ দেখেছিল। ৬ ম্যাচে সমান ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে সিলেট স্ট্রাইকার্স। দুইয়ে ফরচুন বরিশাল।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে আলাদা করে আলো ছড়াতে পারেনি কুমিল্লার কোনো ব্যাটার। তবে দলীয় প্রচেষ্টায় ঠিকই লড়াকু সংগ্রহ স্কোরকার্ডে দাঁড় করিয়েছে তারা। ঢাকার বোলারদের মধ্যে ১৯ রান খরচায় ২ উইকেট তুলে নেন নাসির হোসেন। এছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন তাসকিন আহমেদ, আল-আমিন হোসেন ও আমির হামজা।

মিরপুরের মাঠে এদিন শুরু থেকে আধিপত্য দেখায় ঢাকার বোলাররা। দুই পেসার তাসকিন ও আল-আমিনের দাপটে প্রথম চার ওভারে মাত্র ৯ রান সংগ্রহ করে তারা। এর মধ্যে আল-আমিন ইনিংসের তৃতীয় ওভার মেডেন নেয়ার পাশাপাশি দুর্দান্ত ইনসুইংয়ে বোল্ড করেন পাক ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ানকে। কুমিল্লা প্রথম বাউন্ডারির দেখা পায় ইনিংসের চতুর্থ ওভারে।

Suggested Post :  নাজমুল ইসলাম অপুকে নিয়ে ছেলে খেলা শুরু করেছে সিলেট সানরাইজার্স

এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সে চাপ সামলে দলকে রানে ফেরান ইমরুল কায়েস ও লিটন দাস জুটি। তবে তাদের জুটি খুব বেশি বড় হয়নি। ইনিংসের সপ্তম ওভারে নাসিরকে ডিপ মিডউইকেটের ওপর দিয়ে ওভার বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ঠিক সীমানার সামনে ধরা পড়েন লিটন। তাতে ভাঙে ইমরুলের সঙ্গে তার ৩১ রানের জুটি। ৩ বাউন্ডারিতে ২০ বলে ২০ রান আসে লিটনের ব্যাট থেকে।

ইমরুল আউট হন দলীয় ৬৪ রানে স্পিনার আমির হামজার ঘূর্ণিতে বোল্ড হয়ে। ২২ বলে ৫ বাউন্ডারিতে তিনি করেন ২৮ রান। অধিনায়কের বিদায়ের পর দুই ওভার দেখেশুনে খেলে ইনিংসের ১৩তম ওভারে মুক্তার আলিকে দুটি ছক্কা ও একটি চার হাঁকান জনসন চার্লস। এ ক্যারিবীয় ব্যাটার যখন মারমুখী হয়ে উঠছিল ঠিক তখনই মোসাদ্দেক হোসেনের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন। ২৫ বলে এক চার ও ২ ছক্কায় তিনি ৩২ রান করেন। শেষদিকে খুশদিল শাহর ১৭ বলে ৩০ ও জাকের আলির ১০ বলে ২০ রানের ইনিংসে ভর করে জয়ের জন্য লড়াকু পুঁজি পেয়ে যায় কুমিল্লা।