বিপিএলে ঢাকার পর্ব শুরুর আগে উলটে গেল পয়েন্ট টেবিল

ঢাকায় প্রথমপর্ব শেষে একাই সবার ওপরে ছিল মাশরাফির সিলেট স্ট্রাইকার্স। চট্টগ্রামপর্বে পুরোপুরি না হলেও বিপিএলের পয়েন্ট টেবিলের চালচিত্র পাল্টেছে অনেকটাই।

পার্থক্যটা নেট রানরেটে। যেখানে মাশরাফির সিলেট স্ট্রাইকার্স এখনও এক নম্বরে। কিন্তু পয়েন্টকে মানদণ্ড ধরলে এখন সিলেট স্ট্রাইকার্স আর সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশাল সমান সমান।

৪ পয়েন্ট পিছিয়ে চট্টগ্রামপর্ব শুরু করেছিল সাকিবের দল। কিন্তু শেষ করলো সিলেট স্ট্রাইকার্সের সমানে থেকে। সমান ৬ ম্যাচ শেষে সিলেট ও বরিশালের পয়েন্ট (১০ করে) সমান। দুই দলই জিতেছে সমান ৫টি করে, হেরেছে একটিতে। নেট রানরেটে এখনও সাকিব বাহিনীর (০.৯৮২) চেয়ে মাশরাফির দল এগিয়ে (১.৩৩২)।

তাই চট্টগ্রামপর্ব শেষে বিপিএলের পয়েন্ট তালিকায় সবার ওপরে সিলেট স্ট্রাইকার্স, দ্বিতীয় ফরচুন বরিশাল। তৃতীয় স্থানটি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। ঢাকায় প্রথম তিন ম্যাচ হারের পর বরিশালের মতো চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লারও চট্টগ্রামপর্ব ভালো কেটেছে।

লিটন দাসের ব্যাট কথা বলায় সাগরিকায় ৩ ম্যাচ জিতেছে চ্যাম্পিয়নরা। এখন ৬ ম্যাচে সমান তিনটি করে জয় ও পরাজয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে উঠে এসেছে ইমরুল কায়েসের দল।

ওদিকে চট্টগ্রামপর্বে ওঠা-নামার পালায় লাভবান তামিম ও ইয়াসির আলী রাব্বির খুলনা টাইগার্সও। প্রথম তিন ম্যাচ হারের পর খালেদ মাহমুদ সুজনের শিষ্যরাও পরের দুই ম্যাচ জিতে নেট রানরেটে চারে উঠে এসেছে।

এ মুহুর্তে খুলনা, রংপুর ও চট্টগ্রামের পয়েন্ট সমান (৪ করে)। খুলনা ও চট্টগ্রাম খেলেছে এক ম্যাচ বেশি (৬টি)। আর রংপুরের এক ম্যাচ কম (৫টি)। খুলনার নেট রান -০.০০৬, রংপুরের -০.৫২৩, আর চট্টগ্রামের -০.৮০২।

অন্যদিকে সবচেয়ে তলানিতে ঢাকা ডোমিনেটর্স। নাসির হোসেন নিজে ব্যাট ও বল হাতে দারুণ পারফরম করলেও তার দল ঢাকার অবস্থা বেশ খারাপ। ৬ ম্যাচে একটি মাত্র জয় আর ৫ ম্যাচ হেরে সবার নিচে ঢাকা।

ঢাকা ও সিলেটের পরের দুই পর্বে অবস্থার নাটকীয় পরিবর্তন না ঘটলে নাসিরের দলের সেরা চারে থাকার সম্ভাবনা শুন্যের কোঠায় গিয়ে দাঁড়াবে। এখন দেখার বিষয়, শেষ পর্যন্ত কোন ৪ দল পা রাখে নকআউটপর্বে।

বলার অপেক্ষা রাখে না, এ মুহূর্তে মাশরাফির সিলেট আর সাকিবের রংপুর আছে অনেকটা এগিয়ে। এ দুই দলের নকআউট পর্বে পা রাখার সম্ভাবনা অনেকটাই উজ্জ্বল। বাকি ২ পজিশন নিয়ে কুমিল্লা, খুলনা, রংপুর ও চট্টগ্রাম- ৪ দলের লড়াই।

এর মধ্যে আগামীকাল ২৩ জানুয়ারি থেকে ঢাকায় দুইদিনের এক ছোট পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। সে পর্বে বড় ধরনের রদবদলের সম্ভাবনা তুলনামূলক কম। কারণ সেখানে ঢাকাই একমাত্র দল যারা ২ ম্যাচ খেলবে। বাকি সবাই এক ম্যাচ করে অংশ নেবে। দেখা যাক, কোথাকার পানি কোথায় গড়ায়।

You May Also Like