টানা তিনটি ম্যাচে হেরে ব্যাকফুটেই চলে গিয়েছিল বিপিএলের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। অথচ কী দারুণভাবে কামব্যাক করল দলটি! ঢাকা ডমিনেটর্সকে হারানোর মধ্য দিয়ে টানা তিনটি জয় পেল তারা। অন্যদিকে জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করা ঢাকা হারল টানা চার ম্যাচে।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) ৪ উইকেটে কুমিল্লার ১৮৪ রানের জবাবে ১৫১ রান করতে সক্ষম হয়েছে ঢাকা। নাসির ও আরিফুল আপ্রাণ চেষ্টা করেও দলকে জয় এনে দিতে পারেননি। প্রায় দেড়শ স্ট্রাইকরেটে নাসির ৬৬ ও আরিফুল ২৪ রান করেন।

রান তাড়া করতে নেমে ৩৪ রানের মাথায় ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে ঢাকা। আগের ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও শূন্য রানে আউট হন ঢাকার দুই ব্যাটার সৌম্য ও রবিন দাস। দুজনই খেলেন ৪টি করে বল। ১৭ বলে আহমেদ শেহজাদ করেন ১৯ রান। এরপর মিঠুন ও নাসির হোসেন মিলে দলের হাল ধরেন। মিঠুন ৩৪ বলে ৩৬ রান করে মোসাদ্দেক হোসেনের বলে আউট হন।

Suggested Post :  ব্রেকিং নিউজ : বিপিএলে ফরসুন বরিশালে ভমকে ভরপুর

নাসির টিকে ছিলেন শেষ ইনিংসের শেষ পর্যন্ত। যদিও তা দলের জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ৪৫ বলের ইনিংসে ৭টি চার ও ২টি ছয় হাঁকান তিনি। কুমিল্লার হয়ে একটি করে উইকেট পান হাসান আলি, তানভির ইসলাম ও মোসাদ্দেক হোসেন।

এর আগে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮৪ রান করে কুমিল্লা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন খুশদিল। অপরাজিত ৫৫ রান আসে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাট থেকে। ঢাকার হয়ে তাসকিন আহমেদ, নাসির হোসেন, মোহাম্মদ ইমরান ও সৌম্য সরকার একটি করে উইকেট নিজেদের ঝুলিতে পুরেন।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে গত দুই ম্যাচে কুমিল্লার জয়ের নায়ক লিটন দাস তাসকিন আহমেদের বলে আউট হন। ঢাকার এ পেসারের বোলিং তোপে আগের ম্যাচে ৭০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলা লিটন আউট হন শূন্য রানে। চাপ সামলে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে মোহাম্মদ রিজওয়ানকে নিয়ে ঢাকার ব্যাটারদের ওপর চড়াও হন কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েস।

Suggested Post :  বিপিএলে তাসকিন মুস্তাফিজ সাইফ কোন দলের হয়ে মাঠ মাতাবেন

তবে ইমরুল এদিন ইনিংস বড় করতে পারেননি। ইনিংসের অষ্টম ওভারে নাসির হোসেনকে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে দলীয় ৪৭ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ২৬ বল মোকাবিলায় ৩ চার ও ২ ছক্কায় তার ব্যাট থেকে আসে ৩৩ রান। এক প্রান্তে আগলে রাখলেও ব্যাট হাতে বেশ মন্থরই ছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। তৃতীয় উইকেটে তাকে সঙ্গে দিতে নামা জনসন চার্লস দলীয় ৮৭ রানে ১৯ বলে ব্যক্তিগত ২০ রানের ইনিংস খেলে আউট হন।

এরপর ক্রিজে নেমে রীতিমতো তাণ্ডব চালান খুশদিল শাহ। ইনিংসের ১৯তম ওভারে সৌম্য সরকারের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি। ২৪ বল মোকাবিলায় তার ব্যাট থেকে আসে ৭ চার ও ৫ ছক্কার মার। অপরদিকে ৪৭ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন রিজওয়ান।