সবকিছুই ঠিকমতো চলছিল, তবে কাঙ্ক্ষিত জয়ের দেখাই পাচ্ছিল না কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। টানা তিন ম্যাচ হারের পর জয়ের দেখা পেল দলটি। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে বিপিএলের নবম আসরে প্রথম জয় পেল ইমরুল কায়েসের দল।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের সাগরিকায় মুখোমুখি হয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ম্যাচটিতে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় স্বাগতিকরা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান করে চট্টগ্রাম। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫ বল বাকি থাকতেই জয় পায় কুমিল্লা।

কুমিল্লার উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ৫৬ রান। ৫.৫ ওভারে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর বলে আউট হন লিটন। ২২ বল থেকে ৪টি বাউন্ডারি ও ৩টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে লিটন করেন ৪০ রান। অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ১৩ বল থেকে ১৫ রানে মালিন্দা পুষ্পাকুমারার শিকার হন।

পরে ব্যাট হাতে রানের খাতা খোলার আগেই আউট হন জনসন চার্লস। এ সময় অপর প্রান্ত আগলে রাখেন কুমিল্লার ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। তিনি শেষ পর্যন্ত ৩৫ বলে ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। এর মধ্যে ২৩ বলে ২২ রান করে আউট হন জাকের আলী।

Suggested Post :  সাকিবকে নতুন এক নাম দিয়ে বোমা ফাটালো বরিশাল ফরচুন

শেষ মুহূর্তে রিজওয়ানকে সঙ্গ দেন খুশদিল শাহ। ১০ বল থেকে ১০ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। কুমিল্লার হয়ে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন ওপেনার লিটন দাস।

এদিন বল করতে এসে প্রথম ওভারেই সফলতা পান তানভীর ইসলাম। শূন্য রানে তানভীর বোল্ড করেন চট্টগ্রামের ওপেনার উসমান খানকে। প্রথম উইকেট পড়ার পর জুটি গড়েন আফিফ-ম্যাক্স ও’দাউদ। তারা করেন ৩০ বলে ৪৩ রান। ৫.৬ ওভারে এই জুটি ভাঙেন মুকিদুল ইসলাম। ২১ বলে ২৯ রান করা আফিফ ফেরেন পরিষ্কার বোল্ড হয়ে। ৮.২ ওভারে ইরফান শুক্কুরকে ফেরান মোসাদ্দেক হোসেন। তাতে ৫৫ রানে ৩ উইকেট হারায় চট্টগ্রাম।

Suggested Post :  ADRS নিয়ে মুখ খোলায় দেশসেরা কোচ সালাউদ্দিনকে কঠিন শাস্তি দিলো বিসিবি

চাপের মুহূর্তে দাউদের সঙ্গে ২০ বল থেকে ১৮ রানের জুটি করেন রসুলি। তবে সেটিও ভেঙে দেন মোসাদ্দেক। ২৪ বল থেকে ২৪ রান করা দাউদ বোল্ড হয়ে সাজঘরে যান। দাউদের পরে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন জিয়াউর রহমান। খুশদিল শাহর সহজ শিকার হয়ে মাত্র ২ রান করেই ফেরেন জিয়া।

আর দলীয় ৭৮ রানে রসুলি আউট হলে বিপদে পড়ে স্বাগতিকরা। ৬ উইকেট হারান চট্টগ্রামের তখন দিশেহারা অবস্থা। তবে তখন এসে কান্ডারির ভূমিকা পালন করেন অধিনায়ক শুভাগত হোম। ২৩ বল থেকে অপরাজিত ৩৭ রান করেন তিনি। শুভাগত আর শেষদিকে মেহেদী হাসান রানার ১৩ রানে ভর করে চট্টগ্রাম করে ৮ উইকেটে ১৩৫ রান।

বল হাতে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন তানভীর ইসলাম, মোসাদ্দেক হোসেন ও খুশদিল শাহ। একটি উইকেট পেয়েছেন মুকিদুল ইসলাম।