কাতার বিশ্বকাপ থেকে সোনালী ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরেছে আর্জেন্টিনা। দীর্ঘ ৩৬ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে সেই সোনালী ট্রফির স্বাদ পেল মেসিরা। বিশ্বকাপ জয়ের পর রাষ্ট্রপ্রধানের কাছ থেকে চ্যাম্পিয়ন দল সংবর্ধনা পাবে এটাই তো স্বাভাবিক ব্যাপার। আর সেটা যদি হয় দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর তাহলে তো কথায় নেই। ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপের শিরোপী জয়ী দলকে রাজকীয় সংবর্ধনা দিতে চেয়েছিলেন আর্জেন্টিনার প্রসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ। কিন্তু সেই আমন্ত্রণ প্রত্যাখান করেছে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)।

এর আগে ১৯৭৮ ও ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপ জয়ের পর প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে আর্জেন্টিনা দলকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। ফ্রান্সকে পেনাল্টি শুট আউটে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের শিরোপা জেতে আলবিসেলেস্তারা। পূর্বের রেওয়াজ অনুযায়ী মেসি-ডি মারিয়াদের বরণ করে নিতে সবরকম প্রস্তুতি নিয়ে রেখে ছিল প্রেসিডেন্ট ভবন।

Suggested Post :  ভবিষ্যৎবানীঃ ফাইনালে ফলাফল ২-১ গোল; ফ্রান্স নাকি আর্জেন্টিনা দেখেনিন

কিন্তু আর্জেন্টিনার শীর্ষ গণমাধ্যমের দাবি প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজের আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয় আর্জেন্টাইন ফুটবল প্রধান ক্লদিও তাপিয়ার কাছে। কিন্তু রাজনৈতিকভাবে ব্যবহৃত হওয়ার আশঙ্কায় প্রেসিডেন্ট ভবনে না গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের উৎসব করার সিদ্ধান্ত নেয়ে এএফএ।

অবশ্য এ নিয়ে কোনো রকম ক্ষোভ প্রকাশ করেননি প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ। দেশটির একটি রেডিওতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে আসতে আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান ক্লদিও তাপিয়ার কাছে আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছিল। আর আসা, না আসাটা পুরোপুরি ফুটবলারদের হাতেই ছেড়ে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা আসেনি। এ নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। ব্যাপারটি পুরোপুরি তাদেরই, এটি স্বাভাবিক। আমি এতে কিছুই মনে করিনি।’

Suggested Post :  শেষ ওভারের নাঠকীয়তাই শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম স্কটল্যান্ডের ম্যাচ, দেখেনিন ফলাফল

এ সময় তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি নিতান্তই একজন ফুটবলভক্ত। আমি কখনোই চাই না, কেউ ফুটবলের সঙ্গে দেশের রাজনীতির সঙ্গে মিলিয়ে ফেলুক। আমি ফুটবল ফুটবলের জায়গায়, রাজনীতি রাজনীতির জায়গায় রাখতেই পছন্দ করি।’