ব্রেকিং নিউজঃ রিয়াল মাদ্রিদে ফিরছেন রোনালদো!

বিশ্বকাপ খেলতে পর্তুগাল ফুটবল দল এখন কাতারে অবস্থান করছে। দলের সঙ্গেই আছেন রেকর্ড পঞ্চম বিশ্বকাপ খেলতে চলা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এ মুহূর্তে বিশ্বকাপ শিরোপার দিকে নজর থাকলেও বিশ্বকাপের পর পর্তুগিজ অধিনায়কের সামনে অপেক্ষা করছে অনিশ্চিত ভবিষ্যত। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে তার সময় শেষ এটা ধরে নেওয়াই যায়। তাই রোনালদো এখন নতুন ক্লাবের খোঁজে। স্প্যানিশ গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, রিয়াল মাদ্রিদের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন ৩৭ বছর বয়সী পর্তুগিজ।

বিশ্বকাপের সপ্তাহখানেক আগে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টার পিয়ার্স মরগানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ক্লাবে তার বর্তমান অবস্থা নিয়ে বোমা ফাটান। রোনালদো জানান, ক্লাব তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। শুধু তাই নয়, কোচ এরিক টেন হ্যাগের প্রতি তার কোনো সম্মান নেই বলেও জানান এই পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। তার এমন অপমানজনক মন্তব্যের পর ক্লাব তার সঙ্গে চুক্তি ছেদ করার প্রক্রিয়া গ্রহণ করেছে। তাই ধরে নেওয়া যায়, বিশ্বকাপের পর রোনালদো আর ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ফিরছেন না।

জানুয়ারির দলবদলে নতুন দলের সন্ধান করছেন ৩৭ বছর বয়সী রোনালদো। সম্ভাব্য ক্লাব হিসেবে প্রিমিয়ার লিগের আরেক দল চেলসির নাম উঠে এলেও কোচ গ্রাহাম পর্টার তাকে দলে নিতে আগ্রহী নয় বলেই জানা গেছে। এমন অবস্থায় ক্লাবহীন থাকার শঙ্কায় থাকা রোনালদো ফিরতে চান সাবেক ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে। এমনটাই দাবি স্প্যানিশ গণমাধ্যম স্পোর্তের।

তাদের দাবি অনুযায়ী, মৌসুমের বাকি ছয়মাস রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলার জন্য ক্লাবটিকে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন তিনি। অর্থ্যাৎ, শীতকালীন দলবদলে তিনি রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়ে মৌসুমের বাকি সময়টা সেখানে কাটাতে চান।

মূলত রিয়াল মাদ্রিদের প্রধান ভরসা করিম বেনজেমার ইনজুরির কারণেই এমন প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। বিশ্বকাপ খেলতে কাতারে যাওয়া বেনজেমা বাঁ পায়ের উরুর ইনজুরিতে পড়ে ছিটকে গেছেন বিশ্বকাপ থেকে। সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরতে কমপক্ষে ৩-৪ সপ্তাহ লাগবে তার। এছাড়াও এই মৌসুমের শুরু থেকেই ইনজুরিতে ভুগছেন ৩৪ বছর বয়সী ফরাসি তারকা। তাই মাদ্রিদের শিরোপা ধরে রাখার মিশনে নিজেকে দরকারি ভাবছেন বেনজেমার সঙ্গে ৯ মৌসুম ক্লাবটিতে কাটান রোনালদো।

২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলেছেন রোনালদো। ক্লাবটির হয়ে চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা, লা লিগাসহ অসংখ্য শিরোপা জিতেছেন তিনি। রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গোল করেছেন তিনিই।