ফুটবল বিশ্বকাপ সামনে রেখে উন্মাদনা বাড়ছে বাংলাদেশি সমর্থকদের। প্রিয় দলের জার্সি-পতাকা কিনতে উপচেপড়া ভিড় রাজধানীর দোকানগুলোতে। সরবরাহ কম থাকায় চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে দোকানিদের।





এতে দামও কিছুটা বেশি অন্যবারের তুলনায়। বিশ্বকাপ শুরু হলে এই চাহিদা আরও বাড়বে বলে প্রত্যাশা বিক্রেতাদের। দরজায় কড়া নাড়ছে দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ। ৪ বছরের অপেক্ষা শেষে প্রিয় দলের সমর্থনে উন্মাদনা বাড়ছে বাংলাদেশি ফুটবলপ্রেমীদের মাঝেও।
তাদের চাহিদা মেটাতে রাজধানীর স্টেডিয়াম মার্কেট সেজেছে ভিনদেশি পতাকা ও জার্সির বর্ণিল সাজে। ঢাকার নানা জায়গা থেকে ফুটবলপ্রেমীদের ভিড় গুলিস্তানে। বিশ্বকাপ শুরুর আগেই পছন্দের দলের জার্সি গায়ে জড়ানোর লক্ষ্য তাদের।





সমর্থকরা বলেন, ‘চার বছর পর বিশ্বকাপ আসে। পছন্দের দল সাপোর্ট করা, জার্সি গায়ে জড়ানো, পতাকা কেনাসহ এসব কাজ করতে অনেক আনন্দ লাগে। এসময় দোকানিরা দাম একটু বেশিই বলছে। কিন্তু তারপরও জার্সি গায়ে জড়াতে চাই। পতাকা কিনে এলাকায় লাগিয়ে আনন্দ করব।’
স্বাভাবিকভাবেই সমর্থনটা বেশি ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা দলের। তবে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের টপকে আলবিসেলেস্তের জার্সির চাহিদা সবার ওপরে। লিওনেল মেসির দলের জার্সি বিক্রিতে হিমশিম খাচ্ছেন দোকানিরা। সরবরাহ কম থাকায় তাই দামটাও হাঁকানো হচ্ছে বেশি।





দোকানিরা বলেন, ‘এবার আর্জেন্টিনার পণ্য বেশি বিক্রি হচ্ছে। পণ্য আনলেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। পার্টিরা পণ্য সরবরাহ করে চাহিদা মেটাতে পারছে না। গতবার ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার সমর্থক প্রায় কাছাকাছি ছিল। কিন্তু এবার দেখছি, আর্জেন্টিনার পণ্য বেশি চলছে। মেসির এটাই শেষ বিশ্বকাপ। তাই হয়তো যারা ব্রাজিল সাপোর্টার ছিল, তারাও এবার মেসিদের সাপোর্ট করছে।’





কেবল জার্সি নয়, চাহিদার তুঙ্গে ভিনদেশি পতাকাও। জার্সির মতো পতাকাতেও আধিপত্য আকাশি-নীলদের। কার চেয়ে কে বড় পতাকা টানাবে, তা নিয়েও চলছে অলিখিত এক প্রতিযোগিতা।
ফুটবলপ্রেমীরা বলেন, ‘বিশ্বকাপ ঘিরে দারুণ উত্তেজনা কাজ করছে। পতাকা না টানানো পর্যন্ত মনটা শান্ত হচ্ছে না। কার চেয়ে কে বড় পতাকা টানাল বা কোন দলের পতাকা সংখ্যা বেশি, তা নিয়ে চলে প্রতিযোগিতা।’





প্রিয় দলের জার্সিতে নিজের নাম ছাপানোর প্রতিযোগিতাও বেড়েছে। বিশ্বকাপকে ঘিরে সে দোকানগুলোতেও উপচেপড়া ভিড় ফুটবলপ্রেমীদের। বেচাকেনা বাড়ায় উচ্ছ্বসিত বিক্রেতারাও।