অবিশ্বাস্যঃ ৬ মাস সাইকেল চালিয়ে কাতার বিশ্বকাপে চার বন্ধু!

মরুর বুকে বিশ্বকাপ দেখতে কাতারে জড়ো হচ্ছেন ব্রাজিল, আর্জেন্টিনাসহ সব দলের ভক্ত-সমর্থকরা। মধ্যপ্রাচ্যের ছোট্ট দেশ কাতার, যার আয়তন মাত্র ১১ হাজার ৫৭১ বর্গকিলোমিটার। বিশ্বকাপ উপলক্ষে প্রায় ১৪ লাখ দর্শকের সমাগম হবে দেশটিতে। এদিকে, আর্জেন্টিনার চার বন্ধু বিশ্বকাপ দেখার জন্য বেছে নিলেন অভিনব এক পন্থা। ৬ মাস সাইকেলে চড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ১৩টি দেশের সীমানা পেরিয়ে কাতারে পৌঁছেছেন তারা।

jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn

বিশ্বকাপ যত কাছে আসছে, আর্জেন্টাইন সমর্থকদের উন্মাদনা ততই স্পষ্ট হচ্ছে। যে উন্মাদনার কাছে হার মেনেছে ক্লান্তি কিংবা দূরত্ব।

গল্পের শুরুটা হয় দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ টাউনে। চার বন্ধু লুকাস, সিলভিও, লিয়ান্দ্রো এবং মাতিয়াসের মাথায় আসে আইডিয়াটা। চাইলেই তো এতটা পথ পাড়ি দেওয়া যায় না। তবে প্রেমটা যখন ফুটবলের প্রতি, তখন এতসব সমীকরণ মাথায় থাকে না।

jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn

দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ টাউন থেকে ১লা মে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেন চার বন্ধু। মোট ১৮০ দিন প্যাডেল মেরেছেন তারা। প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ কি.মি. পথ অতিক্রম করতে হয়েছে। আর শেষ ১৪ দিনে ১৪০ থেকে ১৫০ কি. মি।

সিলভিও বলেন, কোনো কোনো দিন আমরা ২০০ কি. মি. সাইকেল চালিয়েছি।

৬ মাসে দুটি মহাদেশের ১৩টি দেশ এবং ১০ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছেন তারা। যাত্রা পথে পাড়ি দিতে হয়েছে পাহাড়ি পথ, কখনো বা বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় মরুভূমির বিশালতা। তবে রোমাঞ্চকর এমন অভিজ্ঞতার পর, ক্লান্তি ছাপিয়ে আনন্দটাই ছাপ ফেলেছে।

jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn

আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম ওলেকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে সিলভিও বলেন, সত্যি বলতে, অন্যরকম সুন্দর একটা অভিজ্ঞতা হলো। অসাধারণ! কখনোই ভোলার মতো নয়। কতে ক্লান্তিকর এক জার্নি ছিল। কিন্তু আমরা লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরেছি তাই গর্ব হচ্ছে। ‘টোডো আ পেডাল’ নামের একটি সংগঠন রয়েছে আর্জেন্টিনার।

তবে মাতিয়াস ভিয়ারুয়েল গণমাধ্যমকে বলেন, সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জটা ছিল সৌদি আরবের মরুভূমি পাড়ি দেয়া। আমাদের ২ হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হয়েছে। প্রতিদিন আমাদের দেড়’শ কিলোমিটারের মতো সাইকেল চালাতে হয়েছে।

jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn

রাত কাটানোর জন্য অবশ্য হোটেল পেয়েছেন তারা। স্পন্সর টিম তাদের সুবিধামতো জায়গায় হোটেলের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। যাত্রা পথে মিশরের পিরামিডের মতো ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থানগুলোর ছবি ও ভিডিও চিত্র ধারন করে রাখেন তারা। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আর্জেন্টাইনদেরও যথেষ্ট সাপোর্ট পেয়েছেন এ চারজন। পথে পথে নানা ধরনের খাবারের স্বাদ নিয়েছেন। তবে ভ্রমণের কথা ভেবে খাবার খেতে হয়েছে বেছে বেছে। দর্শকদের কথা ভেবে হোটেলের বাইরে কাতার বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটি অনেকগুলো তাবু খাটিয়েছে।

jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn
jwppfOn

সিলভিও বলেন, তাবুগুলো যথেষ্ট সুন্দর এবং আরামদায়ক। আমরা এগুলো পেয়ে খুশি। এখনো টিকিটের ব্যবস্থা হয়নি। এজন্য কর্তপক্ষের সহায়তা আশা করছেন তারা।

উল্লেখ্য, আর মাত্র ৬ দিনের অপেক্ষা। তারপরেই শুরু হবে মরুর বুকে কাতার বিশ্বকাপ। চার বছর পর বিশ্বের সেরা হওয়ার লড়াইয়ে নামবে ৩২টি দেশ। এবার ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপ শুরু হবে ২০ নভেম্বর থেকে। ফাইনাল ম্যাচ ১৮ ডিসেম্বর। প্রতিটি গ্রুপে রয়েছে 8 টি করে দল।