পাকিস্তানের যেসব ক্রিকেটার বিপদজনক হতে পারে টাইগারদের জন্য

বাস্তবিক অর্থে বাংলাদেশ- পাকিস্তানের সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্নটি ভঙ্গ হয়ে গিয়েছে। কাগজে-কলমে সেমির সম্ভাবনা এখনো বেঁচে থাকলেও, সেজন্য বিশাল এক অঘটনই ঘটতে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকাকে বড় ব্যবধানে হারাতে হবে নেদারল্যান্ডসের, তারপরও নেট রান রেটের হিসাব চলে আসবে।

অর্থাৎ বলাই বাহুল্য শুধু কাগজে-কলমেই সেমিতে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই দুই দলের। তবে সেমিতে যেতে না পারলেও দুইদলের জন্যই এই ম্যাচের গুরুত্ব একটুখানিও কমবে না। বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান উভয় দলই চাইবে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শেষ করতে। বিগত এক বছর সামর্থ্য অনুযায়ী পারফর্ম করতে না পারা বাংলাদেশ নিঃসন্দেহে এই বিশ্বকাপে হওয়া উন্নতির ধারাটা অব্যাহত রাখতে চাইবে।

বিগত ম্যাচে ভারতকে প্রায় হারিয়ে দেওয়া দলটি নিশ্চয়ই নিজেদের শেষ ম্যাচটি জেতার প্রাণপণ চেষ্টাই করবে। তবে বাংলাদেশের ম্যাচ জেতার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হতে পারে শাহিন শাহ আফ্রীদি। বিশ্বের সেরা পেস বোলারদের একজন তিনি। পাকিস্তানের হয়ে নতুন বল সামলানোর দায়িত্বও থাকবে এই পেসারের উপর।

বিগত ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ওভার বল করে ১৪ রান খরচায় তিনটি উইকেট শিকার করেছেন আফ্রিদি। ব্যাটিংয়ে ভালো করতে চাইলে আফ্রিদিকে দেখে খেলতে হবে টাইগারদের। পাকিস্তানের আরেক বিপদজনক ক্রিকেটার সাদাব খান। দুর্দান্ত লেগ স্পিনের সাথে ঝড়ো গতিতে ব্যাটিং, এই দুইটির মিশেল শুনলেই সবার আগে যার নামটি মাথায় আসবে তিনি শাদাব খান।

শাদাবের লেগ স্পিন তো দেখে খেলতেই হবে ব্যাটসম্যানদের, তবে পাশাপাশি এটাও নিশ্চিত করতে হবে যাতে ব্যাট হাতে উইকেটে থিথু না হতে পারেন শাদাব। উইকেটে থিথু হলে তিনি কি করতে পারেন তা তো দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২২ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলে দেখিয়েই দিয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ের হিসাব করা হলে পাকিস্তানের শক্তির সবচেয়ে বড় জায়গা বাবর-রিজওয়ান জুটি।

বিশ্বকাপে যদিও প্রত্যাশা মতো পারফর্ম করতে পারছেন না এই দুই ক্রিকেটার। তবুও দুজনের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে টাইগারদের। তা না হলে বেশ বড় বিপদই অপেক্ষা করবে, টাইগারদের জন্য। পৃথিবীর যেকোনো দলকেই একা হারানোর সামর্থ্য রাখেন এই দুই ক্রিকেটার।

পাকিস্তানের তুরুপের আরেক তাস হারিস রউফ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একটি খারাপ ম্যাচ পার করলেও পুরো বিশ্বকাপ মোটামুটি ভালই কাটিয়েছেন হারিস। তবে বিশ্বকাপের আগে হারিশের পারফরম্যান্স ছিল আরো দুর্দান্ত। শেষ ম্যাচে ভালো করার জন্য মরিয়া থাকবেন এই পেসার।

হারিসকে উইকেট না দেওয়াই মূল লক্ষ্য থাকা উচিত টাইগার ব্যাটসম্যানদের। গতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ সুইং, হারিসের মূল শক্তি। নিজের দিনে বিশ্বের যে কোনো ব্যাটসম্যানকে ভোগানোর সমর্থ্য রয়েছে এই ক্রিকেটারের। হারিস রওফের ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হবে টাইগারদের।

মানসম্মত দলের বিপক্ষে খেলার সময় এ ধরনের কিছু ম্যাচ উইনারের মুখোমুখি হতেই হয়। টাইগারদেরও হতে হবে। তবে এসব বিপদজনক ক্রিকেটারদের দমিয়ে রেখে নিজেদের লক্ষ্যের প্রতি অবিচল থাকতে পারেন কিনা টাইগাররা এটাই এখন দেখার পালা।