
টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। যদিও শুরুটা ভালো হয়নি টাইগারদের। সৌম্য সরকার বিদায় নেন কোন রান্না করে তাতে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তিন নম্বরে ব্যাটিং করতে নামা লিটন দাসও নিজের সংগ্রহ বেশিদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি। এই দুজন ক্রিকেটারের রেকর্ডে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ভালো অথচ তাদের দ্রুত বিদায়ে চাপে পড়ে যায় টাইগাররা।





নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫০ রান করে টাইগাররা। জবাবে ৮ উইকেটে ১৪৭ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় জিম্বাবুয়ে।লক্ষতারা করতে নেমে আবারও বাংলাদেশের রাতার ভূমিকায় তাসকিন আহমেদ। নিজের প্রথম স্পেলেই তিনি তুলে নিয়েছেন দুই উইকেট।





দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপের পড়া জিম্বাবুয়ের পরাজয় নিশ্চিত মনে হচ্ছিল, তবে সেখান থেকে অবিশ্বাস্যভাবে তাদের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেন সিন উইলিয়ামস। তার ব্যাটে ভর করে জয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল তারা, একটা সময় শঙ্কাই জেগে বসে বাংলাদেশের পরাজয়ের! সাকিবের অবিশ্বাস্য রান আউট এ ৬৪ করে বিদায় নেন উইলিয়ামস। তবে আসল নাটক বাকি ছিল ম্যাচের শেষ ওভারে।





শেষ ওভারে জিততে ১৬ রান প্রয়োজন ছিল জিম্বাবুয়ের। শেষ ওভারে বোলিংয়ে আসেন মোসাদ্দেক। প্রথম দুই বলে দারুণ বোলিংয়ে উইকেট নেন মোসাদ্দেক। কিন্তু পরপর দুই বলে ৪ ও ৬ মেরে ২ বলে ৫ রানে সমীকরণ আনেন রিচার্ড এনগারাভা। তবে পঞ্চম বলে স্টাম্পিং হয়ে ফেরেন তিনি। শেষ বলে জিম্বাবুয়ের জিততে প্রয়োজন ছিল ৫ রানের।
শেষ বল মোসাদ্দেক ডট দিলেও স্টাম্পের আগেই বল ধরে স্টাম্পিং করায় নো বলের সিদ্ধান্ত দেন আম্পায়ার। ফলে আবারো সমীকরণ দাঁড়ায় ১ বলে ৪ রানের। তবে আবারো ডট বল করেন মোসাদ্দেক। ফলে ৩ রানে জিতে যায় বাংলাদেশ। এরপর শেষ ওভারে মোসাদ্দেকের দারুণ বোলিংয়ের সামনে আর জিততে পারেনি জিম্বাবুয়ে।
ম্যাচ সেরা পুরস্কারঃ তাসকিন আহমেদ