
বিশ্বকাপের শুরুতেই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ দেখা হয়ে গিয়েছে বাংলাদেশের। নেদারল্যান্ডেসের বিপক্ষে জয়ের পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হতাশাজনক হার যেন নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে টিম ম্যানেজম্যান্টকে।





তৃতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে তাই প্রতিপক্ষকে সমীহ করছেন শ্রীধরণ শ্রীরাম। শ্রীরাম দায়িত্ব নেওয়ার পর বাংলাদেশ এখনো পর্যন্ত খেলেছে ১০ ম্যাচ। তাতে জয় সাকূল্যে তিনটি, তাও আবার খর্ব শক্তির সংযুক্ত আরব আমিরাত ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। তবে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে অসহায় আত্মসমর্পণের পর সমালোচনা হচ্ছে বেশ। সর্বশেষ ২০ ম্যাচে জয় ৫ টি। এমন অবস্থায় পাকিস্তানকে হারিয়ে বসা জিম্বাবুয়েকে হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই।





(৩০ অক্টোবর) ব্রিজবেনে সংবাদ সম্মেলনে শ্রীরাম অবশ্য শুনিয়েছেন আশার বানী। ভবিষ্যতের জন্য ভালো দল গড়ার ব্যাপারে খুঁজে পাচ্ছেন ইতিবাচকতা। শ্রীরাম বলেন, ‘আমরা মূলত একটা দল হিসেবে গড়ে ওঠার চেষ্টা করছি। সে দিক থেকে সবকিছু ইতিবাচক। ছেলেদের আত্মবিশ্বাস বাড়ছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য নিজেদের আরও শক্ত করছে, তারা জানে তাদের কোথায় যেতে হবে। অল্প সময়ে আমি মনে করি এসব জিনিস আমরা বেশ ভালোভাবেই করতে পারছি।’





‘আমরা আমাদের প্রত্যাশার জায়গায় ঠিকই আছি, ভবিষ্যতের জন্য একটা দল গড়ে তোলা…বেশ সামর্থ্যবান কিছু ক্রিকেটার আছে। আমি বিশ্বাস করি সময় দিলে আমরা ভবিষ্যতে একটা ভালো টি-টোয়েন্টি দল হিসেবে গড়ে উঠবো।’-তিনি আরও যোগ করেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচটিকে পাখির চোখ করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের জয় ভাবনায় রাখতে বাধ্য করছে সাকিববাহিনীকে। শ্রীরামও পূর্ণ সম্মান দিচ্ছেন টুর্নামেন্টে দারুণ পারফর্ম করা জিম্বাবুয়েকে।
শ্রীরাম যেমনটা বলছিলেন, ‘আমরা জিম্বাবুয়েকে সমীহ করছি। তারা পাকিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। ঐ ম্যাচের প্রতিটি বল দেখেছি। যেভাবে তারা পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলল এটা অবিশ্বাস্য। পুরো কৃতিত্ব তাদের দিতে হবে, পুরো সম্মানও।’