এই এক কারনে সবাইকে হারাচ্ছে জিম্বাবুয়ে!

জ়িম্বাবোয়ে ক্রিকেটের কঠিন সময় যিনি নিজের চোখের সামনে দেখেছেন। আবার ফিনিক্স পাখির মতো তারা কী ভাবে জেগে উঠেছে, সেটাও প্রত্যক্ষ করেছেন। জ়িম্বাবোয়ের এই সাফল্যে সবচেয়ে বেশি খুশি বোধ হয় এক জন ভারতীয়। রাজাদের বদলের পিছনে দায়ী এক ভারতীয়।

বিশ্বকাপে এক সময় তাদের যোগ্যতা অর্জনই নিশ্চিত ছিল না। সেই জ়িম্বাবোয়ে দল প্রতিযোগিতায় অন্যতম সেরা অঘটন ঘটিয়েছে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানকে হারিয়ে। জ়িম্বাবোয়ের এই সাফল্যে সবচেয়ে বেশি খুশি বোধ হয় এক জন ভারতীয়। তিনি লালচাঁদ রাজপুত। জ়িম্বাবোয়ে ক্রিকেটের কঠিন সময় যিনি নিজের চোখের সামনে দেখেছেন। আবার ফিনিক্স পাখির মতো তারা কী ভাবে জেগে উঠেছে, সেটাও প্রত্যক্ষ করেছেন।

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ের পর রাজপুত বলেছেন, “আমি চেয়েছিলাম ওরা অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করুক। পাকিস্তানকে হারানোটা তো কেকের উপর চেরির মতো। আমি ওদের নিয়ে অত্যন্ত গর্বিত।” দলের সঙ্গে যোগ্যতা অর্জন পর্ব পর্যন্ত ছিলেন রাজপুত। কিন্তু পরিবারের সঙ্গে দীপাবলী কাটাবেন বলে দেশে ফিরে আসেন। অস্ট্রেলিয়া আর যাননি। জ়িম্বাবোয়ের কঠিন সময় সম্পর্কে বলতে গিয়ে রাজপুত ফিরে গিয়েছেন জ়িম্বাবোয়েতে কোচিং করার শুরুর দিকে।

২০১৮-র ১৩ জুলাই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের এক দিনের সিরিজ়‌ শুরু হওয়ার কথা। তার আগের দিন বোর্ডের সঙ্গে ঝামেলার জেরে সরে দাঁড়ান পাঁচ ক্রিকেটার। রাজপুত বলেছেন, “ম্যাচের এক দিন আগে আমাকে জানানো হল, শন আরভিন, ক্রেগ উইলিয়ামস, সিকান্দার রাজা এবং ব্রেন্ডন টেলর বেতন নিয়ে বোর্ডের সঙ্গে ঝামেলার জেরে সরে দাঁড়িয়েছে। আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। জ়িম্বাবোয়ে ক্রিকেট বোর্ডের এমডি গিভমোর মাকোনি আমাকে বলেন যে,

সিরিজ়‌ বাতিল করা যাবে না। আমাদের হাতে অত্যন্ত দুর্বল একটা দল ছিল। প্রথম ম্যাচে ১০০-র মতো রান করি। দ্বিতীয় ম্যাচে সেটা অর্ধেক হয়ে যায়। তখনই বুঝেছিলাম, আমাকে এখানে থেকে সব বদলাতে হবে।” রাজপুতের সংযোজন, “২০১৯-এর বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করতে পারিনি আমরা। তার পর নির্বাসিত হই। ওটাই জ়িম্বাবোয়ে ক্রিকেটের সবচেয়ে কালো দিন। তার চার বছর পর দল যে এ ভাবে বদলে যাবে তা ভাবা যায় না।”

You May Also Like